পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা চলে না । অতি প্রাচীন আৰ্য্যনিবাসে কি কি বৃক্ষলতাদি ছিল, সে সকল কথা জানিতে পারিলে যে প্রাচীন আৰ্য্যনিবাসের ভৌগোলিক স্থিতি বিষয়ক জ্ঞান সুস্পষ্ট হয়, তাহা সহজেই অনুভূত হইতে পাবে। বৈদিক যুগে উদ্ভিদ জাতি দুইটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হইত, যথা—(১) “বীরুধ” (plant) q<* («) *<**ifö" (tree) ; বীরুধবর্গের মধ্যে যেগুলি ঔষধে ব্যবহৃত হইতে পারিত, কিংবা কোন বিশেষ গুণেব জন্য আদৃত হইত, তাহাদেব নাম ছিল “ওষধি” । বৃক্ষ বলিলে বীকধ, বনস্পতি প্রভৃতি সকল শ্রেণীকেই বুঝাইত। আমাব বন্ধু শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় মহাশয় plant অর্থে “ক্ষুপ” শব্দ ব্যবহাব করিয়াছেন, এবং অন্তান্ত নুতন পাবিভাষিক শব্দ সাহিত্যপরিষং-সভ কর্তৃক প্রচাবিত করিতেছেন। যোগেশ বাবুর অবলম্বিত নুতন শব্দগুলি যখন ব্যবহৃত শব্দ নহে, এবং ঐ শব্দগুলি যখন লোককে নূতন করিয়া মুখস্থ করিতে হইবে, তখন বৈদিক যুগের শ্রেণীবিভাগ অবলম্বন করিলে ক্ষতি কি ? বুক্ষ-শরীবের বিভিন্ন অংশের যে সকল নাম পাওয়া যায়, তাহার অধিকাংশই এখনও পৰ্য্যস্ত ব্যবহৃত থাকিলেও অন্তান্ত অপ্রচলিত শব্দের সহিত সে গুলিরও উল্লেখ করিতেছি। শিকড়ের নাম ছিল “মূল” ; stem অর্থে “কাও” শব্দ প্রচলিত ছিল, এবং “শাখা”, “পর্ণ”, “পুষ্প” এবং “ফল” শব্দগুলিও সে যুগে উহাদের আধুনিক অর্থেই ব্যবহৃত ছিল। কিন্তু সংস্কৃত ভাষায় এবং একালে যাহাঁকে “পল্লব” বলে, তাহার নাম পাওয়া যায় উদ্ভিদাদির বৈদিক নাম br>> 。 “বলশ”, এবং বৃক্ষের “স্কন্ধ” corona অর্থজ্ঞাপক। ফলের অন্ত নাম “বৃক্ষ্য” হইতে বেশ বুঝিতে পারা যায় যে, বড় গাছ হউক, লতা হউক, ওষধি হউক, সকলগুলিই বৃক্ষ সংজ্ঞায় পরিচিত ছিল। বট প্রভৃতি যে সকল বৃক্ষে বায়বীয় মূল দেখিতে পাওয়া যায়, সে সকল বৃক্ষের সেই মূলগুলি শাখা কিংবা মূল নামে অভিহিত হইত না, এবং উহার স্বতন্ত্র নাম ছিল “বয়” । এই “বয়া” শব্দটি সংস্কৃত ভাষায় প্রচলিত নাই ; অথচ ঋগ্বেদে ব্যবহৃত “বয়া" বঙ্গদেশের কোন কোন প্রদেশে এখনও বট গাছের "ঝুরি” অর্থে ব্যবহৃত আছে । বয়া শব্দটি বঙ্গদেশের কোন কোন স্থানে “A” নামেও প্রচলিত আছে । যে শ্রেণীর উদ্ভিদ ঝোপ সৃষ্টি করে, অর্থাৎ ইংবাজিতে যাঙ্গকে bush বলে, তাহাদের বৈদিক নাম ছিল “স্তম্বিনীঃ” । বশি, তাল, খেজুৰ, কচু প্রভৃতি যে সকল গাছে দেখিতে পাওয়া যায় যে, একটি করিয়া পাতা বাহিব হুইলার পর সেই পাতাটিরই থাপ বা আববণেব মধ্য হইতে আর একটি পাতা বাহির হয়, কিন্তু একসঙ্গে দুইটি পাতা নির্গত হয় না, তাহাদিগের নাম ছিল “এক শুঙ্গাঃ” । “এক-কটিলিডন্‌” বুঝাইবার পক্ষে এ শব্দটি এখন ব্যবহৃত হইতে পারে কি ? যদি একটি কাণ্ড বিভক্ত হইয়া বহু শাখায় পরিণত হইত, এবং শাপাগুলি আবাব বিভক্ত হইয়া অনেক প্রশাখার স্থষ্টি করিত তবে ঐ শ্রেণীর বৃক্ষগুলির নাম হইত “ অংশুমতীঃ” । অন্ত দিকে আবার