$e ey সেই সময় শূন্তে একটা জাৰ্ম্মান "এরোপ্লেন” দেখা দিল। ব্রিটিশ সৈন্তের ঠিক উপরে অবস্থিত থাকিয়৷ ইহা - স্বপক্ষীয়দের নিকট তাছাদের অবস্থানের বিবৰণ সঙ্কেন্তে জানাইতে লাগিল! তৎক্ষণাং দুইটী “এরোপ্লেনে” একজন ইংরেজ এবং একজন ফরাসী ব্যোমচারী আকাশে উডউীন হইলেন এবং যথেষ্ট ক্ষিপ্রগতিতে উহারা জাৰ্ম্মান ব্যোমযানটী আক্রমণ করিবার উদ্দেশ্যে তদভিমুখে ছুটিয়া চলিলেন। 4 নিম্নে সৈন্তগণ ঔৎসুক্যের সহিত নিম্পন্দভাবে ইহাদের কার্য্যকলাপ লক্ষ্য করিতে লাগিল । অল্প একটু পরে ফরাসী ও ইংরেজ ব্যোমবিহারী এরূপ ভাবে আক্রমণের চেষ্টা পরিত্যাগ করিয়া শক্ৰ ব্যোমবিহারী অপেক্ষ অধিক উচ্চে উড্ডীন হইবার জন্ত তাহার সহিত প্রতিযোগিতা আরম্ভ করিল। উভয় পক্ষই মনে করিতে ছিল যে অপেক্ষাকৃত অধিক উচ্চে অবস্থিত ' থাকিয়া সহজে বিপক্ষীয় শূন্তরথের উপর গোলাবর্ষণ করিতে পরিবে। নীচ হইতে গোলাবর্ষণ করিয়া কোনো "এরোপ্লেনকে” জখম করা–একরূপ অসম্ভব ; সকল *&রোপ্লেনেরই* নিম্নভাগ কঠিন বৰ্ম্মে স্বরক্ষিত থাকে । কিন্তু একবার অপেক্ষাকৃত উচ্চে অবস্থিত হইতে পারিলে তথা হইতে লক্ষ্য সন্ধান করা অনেকটা সহজ ও কাৰ্য্যकन्नैौ श्रेब्र धारक। উচ্চে, আরো উচ্চে-ক্রমে ‘এরোপ্লেন” দুইট এত উচ্চে উড্ডীন হইল যে নিম্ন হইতে উহাদের ভাল করিয়া দেখিতেই পাওয়া গেল না। "এরোপ্লেন” দুইটা প্রায় छांब्रठौ ফাল্গুন, ১৩২১ দৃষ্টির বহির্ভূত হইতেছে—এমন সময় দেখা গেল ব্রিটিশ বিমানচারী তাহার প্রতিদ্বন্দ্বীর উপরে উঠিয়াছে। তার পর আকাশে গোলাবর্ষণের একটা অস্পষ্ট শব্দ শোনা গেল, পর মুহূর্তেই দেখা গেল জাৰ্ম্মান "এরোপ্লেনটা” অবতরণ করিতেছে। জাৰ্ম্মান “এরোপ্লেন” ভূমিপৃষ্ঠে আসিয়া অতি জোরে প্রতিহত হইল এবং কিছুদূর ভূমিতে পরিচালিত হইয়া—থামিল । সেই স্থানে ছুটিয়া গিয়া ব্রিটিশ সৈনিকগণ দেখিতে পাইল-ব্যোমচারীর মৃত্যু হইয়াছে । ব্রিটিশ বিমানচারীর অব্যর্থ সন্ধানে উহার মস্তক ফুটিত হইয়াছিল। জীবনের শেষ মুহূৰ্ত্তে— সেই সৈনিক তাহার যন্ত্রটকে আয়ত্তে রাখিয়া অবতরণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, তাহাতেই বোম্যানটী অক্ষতভাবে ভূমিতে অবতরণ করিয়াছে। তাহার হস্ত তখনও পরিচালন যন্ত্ৰটীতে রহিয়াছে।” যুদ্ধে বোমযানের আরেকটা প্রধান কাৰ্য্য গোলদাজ সৈন্তের কামান সংস্থাপন কাৰ্য্যে সহায়তা এবং বিপক্ষীয়দের কামানের অবস্থান এবং স্বপক্ষীয়দের অগ্নিবর্ষণের নিত্ৰান্তি নিরূপণ করা । সাধারণতঃ এতদুদেখে “এরোপ্লেন” যন্ত্র ব্যবহৃত হয়, কেহ কেহ fātā slaw czas (captive baloon) শূন্তে উড্ডীন করিয়া থাকেন। দৌত্য কাৰ্য্য দ্বারা বিপক্ষীয় কামানের অবস্থান এবং সংখ্যা নিরূপিত হওয়ার পর—সৈন্তাধ্যক্ষগণ গোলন্দাজ সৈন্তদিগকে নানারূপ উপদেশ প্রদান করিম অতঃপর ব্যোমধানের সাহায্যে তাছাদের অগ্নিবর্ষণের নিদ্রাস্তি অবগত হইয়া থাকেন। কামানশ্রেণীর পশ্চাত্তে—ব্যোমবিহানী আব
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪১৮
অবয়ব