পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮৭ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা ন। দৰে পড়িয়া বাহাদিগকে পোষণ করিতে ইষ্টতেছে, ঐ সকল লোক যেন আমরা নুতন করিয়া স্বষ্টি না করি।” (৩) . 醬 * 喇 * 象 ১৮১৫ হইতে, ইংলণ্ডে একটা नूंडन মনোভাব আবিভূতি হইল। "টোরীরা” স্বয়ং ক্যাথলিকদের “স্বাধীনতা লাভেব” প্রস্তাবে ভোট দিল। “হুরিগরা” গেস্ অফ লর্ডসে” “নিৰ্ব্বাচন সংস্কারের” প্রস্তাব উপস্থাপন করে এবং এই নুতন নির্বাচন-প্রণালী অনুসারে যে প্রথম নিৰ্ব্বাচিত সভার অধিবেশন হইল, তাহাতে যে সকল মতের প্রবণতা প্রকাশ পাইল, তাহা পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী সভাসমুহে অপরিজ্ঞাত ছিল, তাছাড়া সেই যুগে দার্শনিকের সকল মানবজাতির মধ্যে সাম্যনীতি বিস্তারের উপদেশ দিতেছিলেন। সেই সময়ে Wilberforce ইংরাজ উপনিবেশগুলির মধ্যে দাসত্ব উঠাই দিবার পক্ষে সাহায্য করিয়া, এই প্রশ্ন সম্বন্ধে অন্তরজাতীয় সম্মতি লাভ করিবার চেষ্টা করিতে ছিলেন । o ভারতীয় রাষ্ট্রনীতিতেও এই ভাবটি একটিত হইয়াছিল । যে আইনের পাণ্ডুলিপিতে কোম্পানীর অধিকারপত্র আবার নবীকৃত হয়, সেই ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দের আইনের পাণ্ডুলিপির এক অংশে এইরূপ পরিলিখিত চয় যে, ভারতের লোক বা অধিবাসী মহারাণীর ষে কোন প্রজ, কি ধৰ্ম্ম ঘটিত, কি জাতি ঘটিত, কি বর্ণ ঘটিত কোন আধুনিক ভারত, @*s为@ কারণে সরকারের অধীনে কোন সরকারি পদে নিযুক্ত হষ্টতে অসমর্থ বিবেচিত হইবে না । মেকলে সাহেব এই প্রস্তাবটি আরও পরিস্ফুটন্ধপে ব্যক্ত করিয়াছেন – “এই পাণ্ড লিপির কতিপয় অংশ 'সম্বন্ধে আমি কিছু বলিতে ইচ্ছু করি। ধৰ্ম্মঘটিত, জাতিঘটিত বা বর্ণঘটিত কারণে আমাদের কোন ভারতীয় প্রজা কোগ সরকারী কাজকৰ্ম্ম হইতে বঞ্চির্ত হইবে না-এই প্রস্তাবট যে, বিজ্ঞতা হইতে, উচ্চভাব হইতে, সাধু ইচ্ছ। হইতে প্রস্তুত হইয়াছে তাহ বিলক্ষণরূপে উপলব্ধি হয়। অহংনিষ্ঠ ও সংকীর্ষমন ব্যক্তিগণ আমাকে তত্ত্ববাগীশ বলিয়। উপহাস করিতে পারেন, কিন্তু এই সকল উপহাস সত্ত্বেও আমি এই কথা বলিব,— · আমি যে এই পাণ্ড লিপির ঐ অংশের লেখায় সাহায্য করিয়াছি তঞ্জস্য আমি আমার জীবনের শেষদিন পৰ্য্যন্ত গৰ্ব্ব অনুভব করিব .....ভারতবাসীদিগকে ভাল করিয়া বশে রাখিবার জন্য আমরা কি তাহাদিগকে অজ্ঞ করিয়া রাখিব ? অথবা ইহা কি সম্ভব বলিয়া কল্পনাও করিতে পারি, যে আমরা তাহtদিগকে জ্ঞানশিক্ষ। দিব অথচ তাহীদের কোন উচ্চাভিলাষ উদ্বোধিত হইবে না ? কিংবা আমরা তাহাদিগের উচ্চাভিলাষ উদ্বোধিত করিব, অথচ আমরা তাহা বৈধ- • রূপে পূর্ণ করিব না ?......আমাদের বর্তমান প্রণালীর প্রভাবে, ভারতে একটা সাৰ্ব্বজনিক কৰ্ত্তবাবুদ্ধি পরিপুষ্ট হইতে পারে,—এমন কি এতদুর পরিপুষ্ট হইতে পারে যে উহা বৰ্ত্তমান শাসনপ্রধালীকেও অতিক্রমু করিতে পারে। সম্ভবতঃ আমাদের শাসনপ্রণালী এত উৎকৃষ্ট যে উহ। আমাদের প্রজাদিগকে আরও এক উৎকৃষ্টতর শাসনপ্রণালীর যোগ্য করিয়া তুলিবে। য়ুরোপের জ্ঞানবিজ্ঞানে সুশিক্ষিত হইয়া ভারতবাসীরা বোধ হয় ভবষ্যতে য়ুরোপীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের দাবী করবেন । এমন দিন কি আসিবে ?—আমি তাহী জানি না। কিন্তু আমি নিশ্চয়ই এমন দিনের আবির্ভাব কে। (e) Wiiliam Thackeray—witHta fielo of Report Select Committee East India Commission: