পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্য বসিয়াছিলেন, বলিলেন “একটু বন্ধন পরে শুনিব ।” গোলাম di cરના, পল্লিগ্রামে, কি নগরে, গৃহস্থের বাটীতে কি ধনাচ্যের বাটীতে, সকল স্থানেই হইয়া থাকে। কিন্তু বঙ্গের দুই প্রতিভাশালী ব্যক্তি কি প্রকারে সেই সীমান্ত খেলাতে আনন্দের সহিত যোগদান করিতেন, তাহ যদি এস্থলে উল্লেখ করি তাহা হইলে আশা করি পাঠকমহ:শয়ৈর বিরক্ত হইবেন না । আমাদের গ্রামস্থ ৭৮ জন ভদ্রলোক উপস্থিত ছিলেন । দীনবন্ধু, সঞ্জীবচন্দ্র ও আরও কয়েকজন লোক খেলা আরম্ভ করিলেন, তন্মধ্যে পূৰ্ব্বোক্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ও ( যাহাকে দীনবন্ধু ভাই ফোটা দিয়াছিলেন) খেলিতে বসলেন । দানবন্ধু ও সঞ্জীবচন্ধের উদ্বেগু ছিল যে এই বন্দ্যোপাধ্যায়কে গের করির সাজ দেন, কারণ ইনি সকলকেই গালি দিতেন,• কাহাকেও ছাড়িতেন না । বঙ্কিমচন্দ্র WS তাহার জ্যেষ্ঠভ্রাতা শুমাচরণ ও আঁমর অনেকে দীনবন্ধু এবং সঞ্জীবচন্দ্রের দলভুক্ত হইয় খেল দেখিতে লাগিলাম। বন্দ্যোপাধ্যায় যে নিঃসহায় ছিলেন এমন নহে, তাহাবও দলে অনেক লোক ছিল, । তন্মধ্যে একটী লোকের পরিচয় দিতে • ইচ্ছা করি, কেননা বঙ্কিমচন্দ্র কি প্রকৃতির ব্যক্তিদিগের লইয়া বাটী আসিলে সৰ্ব্বদা আনন্মে থাকিতেন, তাহা এই পরিচয়ে কতকটা বুঝিতে পরিবেন। এই লোকটি ব্যবসাবাণিজ্য করিতেন কিন্তু বড় মুর্থ ছিলেন, আবার সেই সঙ্গে এইরূপ অভিমান ছিল যে চেষ্টা করিলে তিনি বঙ্কিমচন্দ্র ও

е

বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু ১১২৯ দীনবন্ধুব দ্যায় লেখক হইতে পারেন—সৰ্ব্বদা লিখিবার জন্য subjebt খুজিতেন। একদিন সঞ্জীবচন্দ্র বলিলেন “আপনি চুত ফল সম্বন্ধে লিখুন বেশ ভাল subject’ ” মুখোপাধ্যায় মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন, "চুত ফল কাহাকে বলে ?” সঞ্জীবচন্দ্র বলিলেন “আম” ৷ © কিছুদিন পরে মুখোপাধ্যায় মহাশয় একটা প্রবন্ধ লিখিয়া আনিয়া আমাদের শুনাইলেন। প্রবন্ধটার প্রথমাংশ আমার মনে আছে, উহা নিম্নে প্রকটিত করিতে ইচ্ছা করি, যদি পাঠকমহাশয়ের রাগ মা করেন । — "াব অতি মিষ্ট, অঁাব আবার অতি টক, বাগাতেঁতুলের মত টক, অঁাব অঁাশাল, কোন কোন অঁবি আঁশাল হয় না কারণ ভাল গাছের তাব অঁাজাল হয় নাইত্যাদি ” এই প্রবন্ধটির পাঠ শেষ হইলে আমাদের জ্যেষ্ঠভ্রাতা শুামাচরণ বাবু গম্ভীর ভাবে উহার ভূয়সী প্রশংসা করিলেন, সকলেই প্রশংসা করিলেন, কিন্তু একব্যক্তি হাসি চাপিয়া রাখিতে পারিলেন না—তিনি বঙ্কিমচন্দ্র । মুখোপাধ্যায় মহাশয় এই হাসিতে অতিশয় দুঃখিত হইয়া নীরবে বসিয়া রছিলেন, পরে বঙ্কিমচন্দ্রের সত্ত্বনাবাক্যে আশ্বস্ত হইয়া মুখোপাধ্যায় তাহাকে অনুরোধ করিলেন, “তবে আমার প্রবন্ধটী ছাপাইয় দিন।” বঙ্কিমচন্দ্র উহা হাত পাতিয়া লইলেন বটে, কিন্তু যেখানে রাখিয়াছিলেন সেই থামেই তাই পড়িয়া রহিল । আমি উহা যত্ন করিয়া তুলিয়া রাখিয়াছিলাম এবং রহস্তের জন্ত মধ্যে অনেককে পাঠ করিয়া শুনাইতাম, { .*