পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Ybr অবস্থান ছবি । তিনি গাছতলায় মান মুখে এক বসিয়া আছেন—আর দুরে দুরে দেবীর পাহার দিতেছেন। - পঞ্চম ছবিখানিতে সীতাদেবীর অগ্নিপরীক্ষা । দেবী করষোড়ে প্রজ্জলিত হুতাশনের ভিতর প্রবেশ করিতেছেন । মুখে প্রশাস্ত ভাব । জাপানী চিত্রকর তার পদদেশ ধূমে ঢাকিয়। দিয়া তাহার শরীরে অলৌকিক দেবীভাব আরোপণ করিয়াছেন । শেষ ছবি খানি রাক্ষস নাশ করিয়া সীতাদেবীকে পুনরুদ্ধার করিয়া রামের পুষ্পক রথে অযোধ্যায় প্রত্যাগমন । এথানি যেন সৰ্ব্বাপেক্ষা সুন্দর । উৰ্দ্ধমুখ অসীম জনতার চক্ষুকে পরিতৃপ্ত করিয়া জ্যোতিৰ্ম্ময় পুষ্পক রথখানি মেঘ ভেদ করিয়া বিদ্যুৎ হানিয়া আকাশপথে আবির্ভূত হইয়াছে । নীচে ভরত রামের পাদুকা দুখানি মাথায় করিয়া তাহার আগমন প্রতীক্ষা করিতেছেন । - রামায়ণের সকল চিত্রেরই কি পবিত্র ভাব কি মধুর পবিত্র ইতিহাস । বিশ্বব্ৰহ্মাও যে ভাবে মোহিত, তার কাছে এই ইতিহাসের ভাবুক চিত্রকর জাপানীর কথা কি । এই প্রদর্শনীতে যে সকল প্রাকৃতিক দৃশ্বের চিত্র দেখিলাম সে গুলিও অতি সুন্দর। দেশের লোকে যে প্রকৃত চিত্র আঁকিতে অপটু এই চিত্রগুলি দেখিলে ইহা মিথ্য অপবাদ বলিয়া সহজেই হৃদয়ঙ্গম হয় । এই সব চিত্রগুলি সবই আলো ও ছায়া বিশিষ্ট সুন্দর রং ফলান প্রতিকৃতি । “চিলক।”হ্রদ ; স্বর্য্যোদয় ; স্বৰ্য্যস্ত ; চাদনীর রাত ; ঘন বনের দৃপ্ত ; আলো ও ছায়ার খেঙ্গা ; কাঞ্চনজঙ্ঘা ; ভারতী । জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ তুষার ধবলশিখর ইত্যাদি। এই চিত্র সকল দেখিয়া আমার মনে হইতে লাগিল ইউরোপের বিভিন্ন চিত্রাগারে যে সকল প্রাকৃতিক দৃপ্ত দেখিয়াছি তাহার তুলনায় কোন অংশে ইহারা অসমকক্ষ নহে। এইরূপ সুন্দর প্রাকৃতিক দৃপ্তাবলীর মত আমার ও ঘরে দুইখানি অতি সুন্দর দৃপ্ত আছে । একজন অজানা ভাবুক যুবকের লেখা । তিনি কোথা ও কখনও চিত্রকলা সম্বন্ধে শিক্ষা পান নাই তাহারই নিজের লেখা কবিতারই ছবি । বিষয় “উষ তারা” ও “সন্ধ্যা তারা ।" চিত্র দুটিতে উদীয়মান ও অস্তমান এই দুই অবস্থার পার্থক্য দেখান হইয়াছে । সন্ধ্য। তারাটি সন্ধ্যাগগনে ক্রমেই উজ্জলতর হইতেছে, আর তার প্রতিবিম্ব মনের উপরও দীপ্তিমান। চারিদিকের অবস্থা এই সুসময়ের সহিত সুর মিলাইয়া আঁকা। সেখানকার দৃষ্ঠাবলী সবই উন্নতিশীল গাছপাতায় ভরা। নূতন ও পুরাতন মুগঠন হৰ্ম্ম্যের গবাক্ষ হইতে আলোর হাসি আসিতেছে । কিন্তু সিয়মান উষার তারার সকলই মান । সে দৃষ্ঠে গাছগুলি পাতাহীন ও দূরে চালা ঘরগুলি সব ভাঙ্গা ও পরিত্যক্ত। তবে একথা মনে হইলে যে সন্ধ্য তারাই আবার ठेवाडाद्री श्ब्र । সৰ্ব্ব শেষে শারীরিক ও মানসিক সকল কাৰ্য্যের ভিত্তিস্বরূপ মনোবিজ্ঞান ও স্নায়ুবিজ্ঞান সম্বন্ধে আর দু একটি কথা না বলিলে চিত্রকলা সম্বন্ধে লেখা সম্পূর্ণ হয় না, কেন না সেই তত্ত্বগুলি আধুনিক বিজ্ঞানের তত্ব কথা । বর্হিজগতের সহিত অন্তর্জগতের আদান প্রদান স্নায়ুমণ্ডলের সাহায্যেই হইয়া রাথিতে