৩৪শ বর্ধ, চতুর্থ সংখ্যা । এই সনাতন হিন্দুত্বস্রষ্ট হইয়া, আমরা মাঝে কিছু দিনের জন্ত, এই জাতিতত্ত্ব ভুলিয়া গিয়া ছিলাম। বৈষমেই যে সাম্যের প্রতিষ্ঠা, এ মহা সত্য মনে ছিল না। তাই আত্মবিস্মৃত হইয়া ইংরেজের সমান হইবার লালসায় নিজেদের ইংরেজের মাপে মাপিতে ও ইংরেজের ছাচে গড়িতে আরম্ভ করিয়াছিলাম। আবার, ইংরেজ নিজে যখন আমাদের এ সাধে বাদ সাধিতে অtরম্ভ করিল, তখন হতাশের তীব্র বিরক্তি সহকারে, সে পথ পরিত্যাগ করিয়া, নিজেদের মাপকাটিতে ইংরেজের সভ্যতা ও সাধনার পরিমাণ করিতে যাইয়া, তার অযথা নিন্দাবাদে নিযুক্ত হইয়াছিলাম । ৪ । জাতিত্ব ও মনুষ্যত্ব । একদিন আমরা মনুষ্যত্বের নামে,জাতিত্বেক প্রতিবাদ আরম্ভ করি। সকলেই মানুষ, তখন আর এ জাতি, ও জাতি, এ অলীক ভেদবিচার কেন ? মানুষের ভূমিতে এ অভেদবুদ্ধির প্রতিষ্ঠা, হিন্দু সাধনায় পাওয়া যায় না। আমরা অভেদ বলিতে সৰ্ব্বভূতে ব্ৰহ্মদৃষ্টি বুঝিয়া থাকি । “সৰ্ব্বংখলু ব্ৰহ্মময়ং ইদং জগৎ”— এই নিখিল জগৎ ব্রহ্মময়, ইহাই আমাদের অভেদজ্ঞানের মূল স্বত্র। “ঈশাবাপ্যং ইদং সৰ্ব্বং যৎকিঞ্চজগত্যাং জগৎ”—ঈশোপনিষদের এই সনাতন শ্রীতি আমাদের অভেদ-সাধনার মূল মন্ত্র। এ অভেদ পরিমার্থিক, ব্যবহারিক নহে । এ অভেদের অর্থ সকলেই মানুষ, অতএব সমান ইছা নছে ; কিন্তু সকলই ব্ৰহ্ম। बक झुष्टि cयभम अ८उन, भश्शु मृष्टि८ङ प्ङभनि ভেল, উভয়ই সত্য। ব্যবহারিক জগতে, ভারত ও বিলাত। &ъа ব্যবহারিক জ্ঞানে, ভেদই সত্যং ; এখানে অভেদ কোথায় ? ইন্দ্রিয়গ্রাস অভেদ নয়, নিত্য ভেদই প্রতিষ্ঠিত করিতেছে। বর্ণ ও আকার, ভেদ চক্ষুর প্রাণ। এ ভেদ না থাকিলে রূপের জ্ঞান অসম্ভব হইত। সুর ও লয়ভেদ কর্ণের প্রাণ ; এ ভেদ না থাকিলে শ্রবণ অসম্ভব হইত। শীতোষ্ণভেদে স্পর্শের প্রতিষ্ঠ। তিক্ত কষায়াদি ভেদেই অস্বাদনের প্রতিষ্ঠা। সকল ইন্দ্ৰিয়ই ভেদের উপরে প্রতিষ্ঠিত। অভেদ একাকারে ইজিয়ের কার্য্য রুদ্ধ ; ইজিয়ের সহায় বিনা বিষয়ুজ্ঞান লাভ অসাধ্য । এই বিষয়ঞ্জানেই ব্যবহারিক জগতের প্রতিষ্ঠ । এরাজ্যে ভেদই প্রবল। ভেদই এ রাজ্যের স্বভাব। এখানে অভেদ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস, শূন্তে সুবিশাল অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণের দ্যায় অণীক কল্পনা মাত্র। অথচ যুরোপীয় সাধক এই একান্ত অসম্ভব সাধনায় নিযুক্ত হইয়াই ব্যবহারিক জগতে এক অলীক সাম্যের প্রতিষ্ঠা করিতে বসিয়াছে। অার এই অলীক সাম্যবাদই কল্পিত মনুষ্যত্বের নামে, জাতিত্বের বা জাতীয়তার প্রত্যক্ষ সত্যকে ফুৎকারে উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিয়াছে । 6 | য়ুরোপীয় সাম্যবাদ। য়ুরোপীয়ের আমাদের সমাজে ছোটবড়র বিষম বৈষম্যে পীড়িত হইয়া, ইতর জনকে অভিজাতবর্গের, দরিদ্রকে ধনীর, প্রজাসাধারণকে রাজপুরুষদিগের স্বেচ্ছাচার শাসন ও পীড়ন হইতে মুক্ত করিবার জন্ত সামা,
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৮৪
অবয়ব