৩৪শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা । প্রভাতে । কেন হে রজনি ! পেtহালে ? কেন আজি এই বিষাদ মাথান দিবস আমারে জাগালে ? এ চেতনা চেয়ে ভাল ছিল ঘুম বিস্মৃতি তিমিরে ঢাকা, শতগুণে ভাল ছিল স্বপনের কোলেতে লুকায়ে থাকা : প্রেমময়ী লতা বক্ষ বিজড়িয়া চাহিল মুখের পালে, কত স্বধtধারা বহিল মুহূৰ্ত্তে উভয়ের প্রাণে প্রাণে । কেন হে রজনি । পোহা’লে ? দগ্ধস্মৃতি ঘেরা এ দিবস কেন, আমারে আবার জাগা’লে ? তাহার যাকিছু স্মৃতি নিদর্শন এগৃহের সবঠাই, তোমার আঁধারে ছিল যে ডুবিয়া আবার দেখিতে পাই, বড় ভাল হ’ত যদি নিশি তুমি না ভাঙ্গিতে ঘূমমোর, হরিয়া লইতে প্ৰtণটা আমার করিতে দুঃখের ভোর । পোষ্যপুত্র । २br© সন্ধ্যায় । আজি কেন এলে সন্ধ্য ! দীনের কুটির স্বারে । সে যে নাই, সে ধে নাই, খুজিতেছ তুমি যারে : কে লবে জ্বালিয়া দীপ তোমারে অাদরে বরি,’ কে আজি তোমার প্রাণ ধূপগন্ধে দিবে ভরি’ ? উঠানে পড়েনি বাট, ছুয়ারে পড়েলি জল, শুধু মোর আঁখিনীরে ভিজিতেছে গৃহতল। তুলসীর বেদীমূলে জ্বলেনি প্রদীপ আজি, উঠে নাই ধুপধুম, শোভেনি ফুলের সাজি । গলবস্ত্রে নমি অীজি ভক্তিভরে পদে তার, ঢালে নাই কেহ বারি—প্রীতিমাখা প্রেমধার । তাজি কেন এলে সন্ধ্য ; দীনের কুটির দ্বরে । সে যে নাই, সে যে নাই খুজিতেছ তুমি ষারে । আঁচল হইতে তব কে তুলিবে যুই বেল, কে গাথিবে বিনাস্বতে সন্ধ্যামণি ফুলমাল । মধুর হাসিতে তব মিলাইয়া সুধা হাসি, কে আজি পরাবে মালা মোর গলে ছুটি আসি । ওই হের আলুথালু বিছানা বালিশ পড়ি, ওই হের শিশু তার ধরাতলে গড়াগড়ি । এই দেখ মোর প্রাণে উঠিছে কি হাহাকার, জ্বলিতেছে বুক যুড়ি কি ভীষণ চিতাহার । আজি কেন এলে সন্ধ্যা । দীনের কুটির স্বারে ? সে ষে নাই, সে যে নাই, খুজিতেছ তুমি যাৱে । শ্ৰীষতীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। পোষ্যপুত্র। শরীর ভাল নাই বলিয়া বসুমতী সেদিন স্নানের পর নিজের শয়নগৃহে প্রবেশ করিয়া ছেন। মোক্ষদা আহারের জন্ত ডাকিতে আসিয়া ধমক খাইয়া গিয়াছে, আর কেহ ডাকিতে সাহস করে নাই। সুপ্রকাশ সকালে উঠিয়া, দিদি চলিয়া গিয়াছে দেখিয়া পৰ্য্যন্ত, এমনি ○ হাঙ্গামা বাধাইয়া তুলিয়াছে যে কেহই তাহাকে শাস্ত করিতে পারিতেছে না । “দিদি যে তাহার চেয়ে হেমবাবুকেই বেশি ভালবাসে সে বিষয়ে সে আজ দৃঢ় নিশ্চয় হইয়াছে এবং অীর কক্ষণ ও সে দিদির কথায় বিশ্বাস করিবে না, এ বিষয়ে সে সরকারমশাই হইতে
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩০০
অবয়ব