やめb ডুবুরীগণ পূৰ্ব্বে ভূমধ্য সাগর হইতে স্পঞ্জ সংগ্ৰহ করিত। পরে ইহার সে স্থান হইতে বিতাড়িত হইয়া মুদুর আমেরিকার ফুেরিড নামক স্থানে উপনিবেশ স্থাপন করতঃ স্পঞ্জ উত্তোলন কার্য্যে নিযুক্ত আছে। বহু বৎসর ধরিয়া তাঁহার এই কাৰ্য্য করায় এসম্বন্ধে তাহারা অদ্বিতীয় পারদর্শী। এই ডুবুরীগণের এক প্রকার পোষাক আছে তাহাকে “স্তাফ্যাণ্ডার” (Shafander) বলে । তাহার এই পোষাকাবৃত হইয়া সুগভীর সমুদ্র তলদেশে গমন করতঃ যে প্রকার স্পঞ্জ সংগ্ৰহ করে এবং সুগভীর সলিলtভ্যস্তরে স্পঞ্জ দেখিলেই ভালমন্দ যেরূপ বুঝিয়া লইতে পারে এমন আমেরিকাবাসী কোন ধীবর পারে না। এই পোষাক বৰ্ত্তমানকালের বিজ্ঞান সম্মত । কিন্তু পোষাকের অধিকাংশ স্থলই সিস দ্বারা প্রস্তুত বলিযা অতিরিক্ত ভারাক্রান্ত ;—এমন কি বিনামার তলদেশ ইংরাজিতে যাহাকে sole বলে তাহাও মিসার । ধীবরের সঙ্গে এক একটি প্রকাণ্ড জালের থলি লইয়া যায়। পৰ্ব্বত হইতে কমলালেবু সংগ্রহের জন্ত যে প্রকার জালের ব্যাগ ব্যবহৃত হয় ইহাও তদ্রুপ, কিন্তু আকারে অনেক বড়। উক্ত ব্যাগ কোমরের সঙ্গে ঝুলান থাকে। স্পঞ্জ সংগ্ৰহ করিয়া তাহারা ঐ ব্যাগের মধ্যে রাখিয়া দেয়। এবং তাহ স্পঞ্ছপূর্ণ হইলে তাহার একদিকের রজু ধরিয়া টানিয়া নৌকার লোক উপরে গ্রহণ করে–আবার শূন্ত ব্যাগটি ডুবুরীগণ অপর পাশ্বের রাজু ধরিয়া টানিয়া লইয়া থাকে। স্পঞ্জ সংগ্ৰহ কাৰ্য্য উভয় হস্ত দ্বারাই সম্পন্ন হয়। ডুবুরীগণের নিশ্বাস প্রশ্বাস ক্রিয়া যাহাতে সহজে সম্পন্ন হইতে ভারতী । শ্রাবণ, ১৩১৭ পারে এমন একটি পম্প যন্ত্র ধীবরগণের নাসিকার সংযোগ করিয়া দেওয়া হয় । পুৰ্ব্বে যে পোষাকের বিষয় উল্লেখ করিয়াছি তাহাতে বৈজ্ঞানিক দোষ না থাকিলেও উহাতে জীবনের আশঙ্কা দূর করিতে পারে না । সমুদ্র মধ্যে হাঙ্গরের ভয়ই অধিক। যে সকল স্থানে স্পঞ্জের আধিক্য দৃষ্ট হয় তথায় ভয়ের কারণ বিলক্ষণ আছে। তথায় মনুষ্যরক্ত পিপাসু বহু সামুদ্রিক জন্তু বাস করে । এই সমুদায় জন্তুর হস্ত হইতে রক্ষা পাইতে হইলে মুতীক্ষু অস্ত্রের অবিশু্যক। অথচ এই ধীবরগণ কখনও সেরূপ কোন ও অস্ত্র সঙ্গে লইয়া যায় না । ইহার কারণ কি ? মার্কণ্ডেয় চণ্ডীর এক স্থলে উক্ত আছে—শুম্ভ নিশুম্ভ বধ উদ্দেশ্বে দেবী কালীমূৰ্ত্তি ধারণ করতঃ রক্তবীজ বধ কালে দেখিলেন, অস্ত্রাঘাতে উক্ত অসুরের দেহ হইতে শোণিত ভূমিতলে নিপতিত হইবামাত্র শত সহস্ৰ অসুর দেহধারী রক্তবীজের আবির্ভাব হইতে লাগিল। এই হাঙ্গরগণের বেলা ও তাঁহাই হইয়া থাকে । আহত হাঙ্গরের এক বিন্দু শোণিত জলের সঙ্গে সংমিলিত হইবামাত্র শত শত হাঙ্গর অসিয়া তথায় উপস্থিত হয়। ইহারা ও রক্ত বীজের বংশধর বললেও অ তু্যক্তি হয় না। এই সকল কারণে ডুবুবীগণ কোন ক্রমেই অস্ত্র সঙ্গে লয় না। একটি হাঙ্গরের রক্তপাত করিয়া শত সহস্ৰ হাঙ্গরের দ্বারা ভক্ষিত হইতে কে ইচ্ছা করে ? হাঙ্গরের ঘ্রাণশক্তি অতিশয় প্রবল । ধীবরগণের পোষাকের গুরুভার হাঙ্গরের হস্ত হইতে পলায়ন কোনও উপায় নাই। তবে এই নিবন্ধন করিবার ও
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৩৩
অবয়ব