পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । চয়ন—শিবমন্দির । पञन्ज्ञब्ष ! শিবমন্দির । পবিত্র ভাগীরথীর উত্তর দেশে বিহারপ্রদেশের মধ্যস্থলে এক প্রকাও পুষ্করিণী আছে । পুষ্করিণীটি এত পুরাতন যে সেটি যে কে কবে খনন করিয়াছিল তাহ স্থির করিবার আর কোনও উপায়ই নাই। সেই গভীর জলের চতুর্দিকে খ গুগিরির ন্তায় উচ্চ পাহাড়দেশ নিবিড় জঙ্গলে সমাচ্ছন্ন আছে ; কালে বোধ হয় এই জঙ্গল বহুদূরব্যাপী ছিল । এখন সেখানে কৃষিক্ষেত্র ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রাম হইয়াছে ;–পুষ্করিণীটির চারি পাশ্বে কেবল সেই পুরাতন বনের অবশিষ্ট চিকু মাত্র বর্তমান । দক্ষিণ তটের গভীর বনের মধ্যে একটি প্রচ্ছন্ন মনোহর পুরাতন মন্দির ; তাহার দ্বারদেশ তইতেই এক সুন্দর ঘাটের সোপানাবলী সেই গভীর জলের মধ্যে নামিয়া प्लिएझ् ! শীতের এক সুন্দর দিনে আমি এই স্থানে শীকার করিতে গিয়াছিলাম। কতকগুলি সুন্দর পার্থী মারিবার পর আমার বৃদ্ধ মাঝি আমাদের নৌকাটিকে সেই সোপানের পাশ্বে এক বৃদ্ধবিটপীর ছায়াতলে আনিয়া বাধিয়া আমাকে সেই স্থানটির ইতিহাস বলিতে বসিল । গল্পটি তাহার জন্মাইবার বহু শতাব্দী পূৰ্ব্ব হইতে এই ভাবেই তথাকার অধিবাসীদিগের মধ্যে চলিয়া অtসিতেছে । “বহু শতাব্দী পূৰ্ব্বে এক সময়ে যখন ইহার নিকটবর্তী সমস্ত দেশ বনজঙ্গলে পূর্ণ ছিল এবং চতুর্দিকে বাঘ ও বস্তহস্তী ঘুরিয়া বেড়াইত, তখন একদিন নেপালের যুবরাজ প্রাণভয়ে অযোধ্যা হইতে এইখানে পলাইয় আসেন। অযোধ্যারাজের এক কন্যা ছিল । মেয়েটি বর্ষার মেঘাচ্ছন্ন চন্দ্রের ন্তায় রূপবতী, তালবৃক্ষের ন্তায় ঋজু ও ক্ষীণাঙ্গা, যুবতী ও পদ্মাক্ষী । সুতরাং তাহার রূপে মুগ্ধ হইয় অনেক রাজপুত্র আসিয়া তাহার পরিণয়ভিক্ষা করিতে লাগিল। নেপালের যুবরাজ ও তাহাদের মধ্যে একজন। যুবরাজ রূপবান এবং পিতৃসিংহাসনের ভাবী অধিকারী । এই দেখিয়া অযোধ্যারাজ র্তাহাকেই মনোনীত করিলেন । নেপালরাজ তখন প্রচলিত প্রথানুসারে বহু অনুচর ও উপঢৌকনাদি দিয়া পুত্রকে অযোধ্যায় পাঠাইয়া দিলেন । অযোধ্যার চতুৰ্দ্দিকেই আনন্দ উৎসব। কয়েকদিন পরে যুররাজের সহিত তাহার ভাবী পত্নীর সাক্ষাতের দিন আসিয়া উপস্থিত হইল। সেই দিনে উভয়ের শুভদৃষ্টি হইবে এবং যুবরাজ স্বহস্তে পত্নীর সীমন্তে সিন্দুর পরাইয়। দিবেন। রাজকুমারের বীরের হার আকৃতি ও সুন্দর রূপ দেখিয়া রাজ প্রাসীদের সকলেই মুগ্ধ হইয়াছিলেন কেবল রাজার দ্বিতীয় রাণী তাহাকে দুই চক্ষে দেখিতে পারিতেন না। রাণীটি বন্ধা । সেই জন্ত রাজকন্যা ও নূইন জামাতাকে তিনি মনে মনে ঘৃণা করিতেন। রাণীটি এক ডাইনি এবং প্রত্যহ দৈত্যদের সহিত র্তাহার দেখা সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা চলিত। অনেক ব্রত ও যাগযজ্ঞ করিয়া রাণী এমন ক্ষমতা পাইয়াছিলেন যে দেবতারাও র্তাহার আজ্ঞা পালন করিতেন। সেই