পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8* ं, शृक्षैष ज१९j1 ।। সে কহিল, “আপনি জানেন ? আশ্চৰ্য্য— ব্যাপারখানা কি, বলুন দেখি ” “তুমি শোনবার জন্ত ব্যাকুল ছয়ে পড়েছ ” সে কহিল, “কেন, মশায় ? রাজ্যের কথায় সকলেরি আলাদা মত আছে । তা সে যে-ই কেন হোকু না ! আপনি কয়েদী, তাতে কি এসে যায় ? আমি ত দ্যাশন্সাল গার্ডের দিকে । ছেলেবেলায় তাদের দলে কাপ্তেনীও করেছিলাম। ভারী ভালো লাগত !” আমি বাধা দিয়া কহিলাম, “না, মশায়, আমি অন্ত কোন সংবাদ মনে করছিলাম ।” সে কছিল, “তাই নাকি ? বলেন কি, আপনি ? আপনি জানিলেন কি করিয়া ? কে সংবাদ দিলে, আপনাকে ? বলুন ত, আবীর কি খবর ? শুনি ।” আচাৰ্য্য কছিলেন, করছিলে ?” আমি কহিলাম, “সন্ধ্যার পর, অার মনে করবার কিছু থাকবে না, এই কথাটাই মনে করছিলাম।” আচাৰ্য্য কহিলেন, “আহ, তোমার বড় দুঃখে, দুর্ভাবনায় সময় কাটছে,--কি করবে বল ! এরি মধ্যে মনটাকে ভালো রাখবার চেষ্টা কর!” সর্দার প্রহরী কহিল, “আপনি একেবারে মনমরা হয়ে পড়েছেন-কান্তর্গ সারা পথ রসের গল্পে হাসিয়ে মেরেছিল!” তার পর সে আপনার প্রতিপত্তির কথা বলিল, পাপাভোর সঙ্গে সে গিয়াছিল—সারা পথ সে কি চুরুট টানিয়াছিল । তারপর রুকূলের সেই ছোকরাগুল “তুমি কি মনে চয়ন-বন্দী। 8)● —বকিয়া, চীৎকার করিয়া, কাণ কালাপাল করিয়া তুলিয়াছিল! আচাৰ্য্য কছিলেন, “পাগলের দল ! বেচারার বুদ্ধির দোষে কষ্ট পায় বৈ ত নয় । কিন্তু—মশায়, আপনাকে বড় বিমর্ষ দেখছি। এই অল্প বয়স, আপনার—” আমি কহিলাম,—স্বরে বেশ একটু তীব্র রস ঢালিয়া দিয়াছিলাম—কহিলাম,— “অল্প বয়স ! বলেন কি ? আপনার চেয়ে আমি বৃদ্ধ ! প্রতি ঘণ্টায় আমার দশ বৎসর ক’রে আয়ু বাড়ছে।” আচাৰ্য্য কহিলেন, “তামাসা—তাই ভালে৷ —আমি তোমার পিতামহের বয়সী ! আমি গম্ভীরভাবে কহিলাম "তামালা নয়,—অন্ততঃ আমার এমনি ধারণা !” অtচার্য্য নস্তদানি বাহির করিয়া ডাল খুলিলেন। কহিলেন, “রাগ করে না— ভাই, বুঝলে ?” আমি কছিলাম, “না, না, রাগের কথা নয়—আমি রাগ করিনি ।” এমন সময় গাড়ীর ধাক্কায় তার নস্যদানি উণ্টাইয়া গেল—সমস্ত নস্তটুকু পড়িয়া গেল । শশব্যস্তে নস্তদানি তুলিয়া আচাৰ্য্য কছিলেন, “যাঃ, সব পড়ে গিয়েছে—এখন উপায় ?” আমি কহিলাম, “সয়ে থাকুন—তুচ্ছ একটু আরাম মুখ,—আমাকে দেখে সহ করতে শিখুন।” আচাৰ্য্য গর্জিয়া উঠিলেন, “আরে রেখে দাও, সহ করা ! তোমার কি কষ্ট হে, বাপু ! বুড়ামানুষ-নস্ত না নিয়ে এতটা পথ চলি কি করিয়া ? হায়, হায়, হায় ।” আশ্চৰ্য্য! আমার তুলনায় আচাৰ্য্যের