পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8:് সহচর শরীরকে ও মানুষ লজ্জায় আচ্ছন্ন করে রাখে । কারণ মানুষ যে পশু এবং মাথষ দুইই। একদিকে সে আপনার আর একদিকে সে বিশ্বের একদিকে তার মুখ, আর একদিকে তার মঙ্গল । সুখভোগের মধ্যে মানুষের সম্পূর্ণ অর্থ পাওয়া যায় না। গর্ভের মধ্যে ভ্ৰাণ আরামে থাকে এবং সেখানে তার কোনো অভাব থাকে না কিন্তু সেখানে তার সম্পূর্ণ তাৎপর্ঘ্য পাওয়া যায় না । সেখানে তার হাত পা চোখ কান মুখ সমস্তই নিরর্থক। যদি জানতে পারি যে এই ভ্রণ একদিন ভূমিষ্ঠ হবে তাহলেই বুঝতে পারি এ সমস্ত ইন্দ্রিয় ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তার কেন আছে। এই সকল আপাত অনর্থক অঙ্গ হতেই অনুমান করা যায়, অন্ধকার বাসই এর চরম নয়, আলোকেই এর সমাপ্তি, বন্ধন এর পক্ষে ক্ষণকালীন এবং মুক্তিই এর পরিণাম । তেমনি মনুষ্যত্বের মধ্যে এমন কতকগুলি লক্ষণ আছে কেবলমাত্র স্বার্থের মধ্যে সুখভোগের মধ্যে ধার পরিপূর্ণ অর্থই পাওয়া যায় না—উন্মুক্ত মঙ্গললোকেই যদি তার পরিণাম না হয় তবে সেই সমস্ত স্বার্থবিরোধী প্রবৃত্তির কোনো অর্থই থাকে না। যে সমস্ত প্রবৃত্তি মানুষকে নিজের দিক থেকে ফুর্নিবারবেগে অন্তের দিকে নিয়ে যায়, সংগ্রহের দিক থেকে ত্যাগের দিকে নিয়ে যায়, এমন কি, জীবনে আসক্তির দিক থেকে মৃত্যুকে বরণের দিকে নিয়ে যায়— যা মানুষকে বিনা প্রয়োজনে বৃহত্তর জ্ঞান ও মহত্তর চেষ্টার দিকে অর্থাৎ ভূমীর দিকে আকর্ষণ করে, যা মানুষকে বিনা কারণেই স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে দুঃথকে স্বীকার করতে, মুখকে ভারতী । আশ্বিন, ১৩১৭ বিসর্জন করতে প্রবৃত্ত করে—তাতেই কেবল জানিয়ে দিতে থাকে, মুখে স্বার্থে মানুষের স্থিতি নেই-তার থেকে নিষ্ক্রান্ত হবার জন্তে মানুষকে বন্ধনের পর বন্ধন ছেদন করতে হবে—মঙ্গলের সম্বন্ধে বিশ্বের সঙ্গে যোগযুক্ত হয়ে মানুষকে মুক্তিলাভ করতে হবে । এই স্বার্থের আবরণ থেকে নিস্ক্রান্ত হওয়াই হচ্চে স্বার্থ ও পরমার্থের সামঞ্জস্তসাধন। কারণ স্বার্থের মধ্যে আবৃত থাকৃলেই তাকে সত্যরূপে পাওয়া যায় না। স্বার্থ থেকে যখন আমরা বহির্গত হই তখনই আমরা পরিপূর্ণরূপে স্বার্থকে লাভ করি। তখনি আমরা আপনাকে পাই বলেই অম্ভ সমস্তকেই পাই। গর্ভে শিশু নিজেকে জানেন বলেই তার মাকে জানেন—যথনি মাতার মধ্য হতে মুক্ত হয়ে সে নিজেকে জানে তখনি সে মাকে জানে । সেই জন্তে যতক্ষণ স্বার্থের নাড়ির বন্ধন ছিন্ন করে মানুষ এই মঙ্গললোকের মধ্যে জন্মলাভ না করে ততক্ষণ তার বেদনার অন্ত নেই। কারণ, যেখানে তার চরম স্থিতি নয়, যেখানে সে অসম্পূর্ণ, যেখানেই চিরদিন স্থিতির চেষ্টা করতে গেলেই তাকে কেবলি টানাটানির মধ্যে থাকৃতে হবে। সেখানে সে যা গড়ে তুলবে তা ভেঙে পড়বে, যা.সংগ্রহ করবে তা হারাবে এবং যাকে সে সকলের চেয়ে লোভনীয় বলে কামনা করবে তাই তাকে আবদ্ধ করে ফেলবে। তখন কেবল আtঘাত, কেবল আঘাত । তখন পিতার কাছে আমাদের কামনা এই— মা মা হিংসী ঃ-আমাকে আঘাত কোরোনা, অামাকে আর আঘাত কোরোনা। আমি