পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«&8ty কি তাই বিশ্বাস কর ? আচ্ছ। আমাদের মধ্যে কি ঠিক হয়নি, যে-কেউ আমাদের মধ্যে সন্ধুপায়ে তাকে জয় করে নিতে পারবে?” “ঠিক বলেছ—সন্ধুপায়ে জয় করবার কথা हिल ” f

  • আর ভূমি মনে করেছিলে আমার উপায়টা ?”

“তোমার উপায় ?—তোমার উপায়ট অতি নীচ, অধম ও দুষ্প্রবৃত্তির পরিচায়ক ; তুমি প্রলোভন দেখিয়ে তাকে সেণ্টপিটার্সবর্গ হতে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রেখেছিলে, আমি যতদূর জানি, এখনো পৰ্য্যস্ত তুমি তাকে লুকিয়েই রেখেছ। সে তোমাকে ভালবাসত না, সে শুধু আমাকেই ভালবেসেছিল, কিন্তু তবু জোরজবরদস্তি তুমি তাকে অধিকার করেছিলে, রুষিয়া রাজ্যে এমন ব্যাপার তো প্রতিনিয়তই ঘটছে।” দুজনেই কিছুক্ষণ নীরব হয়ে রইলেন—তারপর । বোরিস হেক্টরের আক্রমণের কোনই প্রতিবাদ না করে স্নিগ্ধস্বরে বল্লেন, “বুঝতে পারছ কি ? , তুষারক্ষেত্র ষে ভেঙ্গে খণ্ড থও হয়ে যাচ্ছে।” হেক্টর বল্পেন—“হঁ্যা বুঝতে পারছি।” - “ভেবে দেখেছ কি, এর চেয়ে ছোট যদি হয়ে যায়, তা হলে এর উপরে আমাদের আশ্রয় আর হবে না, দুজনেই ডুবে মরব ?” হেক্টর বল্লেন “হ্য তাও বাকী নেই। এর পর বোরিস কিছুক্ষণ নীরব হয়ে রইলেন—পরে শাস্ত স্বরে জিজ্ঞাসা করলেন “আমি নিকলেটকে ভাঙ্গিয়ে নিয়েছি এই ধারণায় তোমার বন্ধু-স্নেহ বৈরীভাবে পরিণত হয়েছে ?” হেক্টর নিরুত্তর থেকে বোরিসের छांब्रउँौ 3 শ্রাবণ, ১৩২১ যে হাত খানি অক্লান্তভাবে তার ক্ষত জাম্বর রক্তস্রাব রোধ করেছিল তার দিকে চেয়ে রইলেন, কিছুপরে উত্তেজিত তীব্রস্বরে উত্তর করলেন—“ষ্ঠ নিকলেটকে আমি প্রাণাধিক ভাল বাসতাম, তাই আজ তোমার প্রতি আমার স্নেহ লেশমাত্র আর নাই। দারুণ বেদনাহত সেই দুই মুমুধু মানব একে অপরকে স্পর্শ করে পড়ে রইল ; —স্বৰ্য্য পশ্চিমে গড়িয়ে পড়ল, স্বল্পাবশিষ্ট তুষার-আশ্রয় ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতর এবং মৃত্যুও মুহূর্তে মুহূর্তে সন্নিকট হচ্ছিল। যুবরাজ বোরিস ষ্ট্যানহলি আবার আপন হইতেই জিজ্ঞাসা করলেন—“আমি যে তোমাকে প্রতারণা করেছি এ কথা এমন করে কে তোমার বিশ্বাস জন্মালে ?” “নিকলেট যে চিঠি রাথিয়া যায়,তাহতেই একথা লেখা ছিল, নতুবা অপরের কথা কি আমি বিশ্বাস করি ? “আরে ভাই—সে যে আমাকে ও ঐ একই কথা লিখে দিয়েছিল ।” “তোমাকেও ঐ একই কথা লিখেছিল । তোমার জন্তও পত্র রেখে গিয়েছিল ? কি ষে বলছ আমি কিছুই বুঝতে পারছিনে।” “তুই ভাই আমার কথা বিশ্বাস কর আমি তো কখন মিথ্যা বলি না আর এই উভয়ের আসন্ন মৃত্যুকালে মিথ্যা বলবার আবশুকতাই বা কোথায় ? আমরা দুজনেই নিকলেটকে ভালবেসেছিলাম দুইজনেই রুষ সম্রাটের অসন্তোষ অবহেলা করে, তাকে বিবাহ করতে এস্তুত ছিলাম। সে স্বপনী মেয়েট তোমাকে কি আমাকে কাউকেই ভালবাসেনি—সে কথা আমি বেশ ভাল