পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা 鬆 থাকিতে হয় সত্য, তাহার কারণ এই সকল দেশে, মেয়ের সংখ্যা অনেক বেশী, এবং বিধবাবিবাহপ্রথা প্রচলিত আছে । স্বেচ্ছাবিবাহ প্রথা বিদ্যমান থাকার * দরুণ মেয়েদের অবিবাহিত থাকিতে হয় না । আমাদের দেশেওঁ যদি বহুবিবাহ প্রথ" না থাকিত, বিধবার বিবাহ হইত, তাহা হইলে এখানেও অনেক যুবতীকে অবিবাহিতা থাকিতে হইত। ইহা , ছাড়া আরও কতক গুলি জঘন্ত প্রথা বর্তমান থাকতে আমাদের সমাজে মেয়েদের অবিবাহিত থাকিবার কোনই আশঙ্ক এত দিন বর্তমান ছিল না। ধরুন আমাদের বিবাহের বয়সের হিসাবটি । ছেলের বয়স দশ কি আট হইতে সত্তর, আব মেয়ের বিবাহের বুয়ুস সাধারণতঃ আট হইতে চৌদ্দ । ছেলের অভাব আমাদের দেশে এত দিন এরই জন্ত হয় নাই। এবং আমরা ইহাকে লইয়াই গৌরব করি । . আমাদের বরের বহুরূপ, কনের একরূপ । বর কোনও ক্ষেত্রে বালক, কোনও ক্ষেত্রে বৃদ্ধ ; কোনও ক্ষেত্রে কুমার, কোনও ক্ষেত্রে স্ত্রী-বেষ্টিত অথবা বিগত-পত্নী। আর কনে আমাদের দেশে চিরদিনই কুমারী। 姆 কিন্তু কি ঘোর পাশবিক পন্থী অবলম্বন করিয়া আমরা এই গোধবকে রক্ষা করিয়া আসিয়াছি, তাহা কি বিচার করিয়া দেখার বস্তু নছে ? দেশে কতক গুলি মেয়ে অবিবাহিত থাকা তাহার চেয়ে কি বহু পরিমাণে প্রার্থনীয় নহে ? আরও একটি কথা আছে। কেহ কেহ বলেন, য়ুরোপে বিবাহের এই প্রকার স্বাধীনত৷ cषझीदिदांश् ○ゲQ of oth Wool, off-ests (divorce) প্রভৃতি কতক গুলি দুণতি যুরোপীয় সভ্যতার কলঙ্ক ঘোষণা করিতেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে স্বেচ্ছ বিবাহ প্রথা প্রচলিত থাকার দরুণ যুরোপে স্বামী স্ত্রী-ত্যাগের স্বাক্ট হয় নাই। খৃষ্টানদের শাস্ত্র সন্মত বলিয়াই ইহা প্রচলিত হইয়াছে। মুসলমানগণের মধ্যে স্বেচ্ছাবিবাহ প্রচলিত নাই,তবে তাহীদের ভিতরে ডাইভোর্স প্রচলিত কেন ? ইহার যে কথায় কথায় স্ত্রী-ত্যাগ করিয়া থাকে । তারপর আমাদের ভিতবে স্বামী ত্যাগ নাই বটে কিন্তু আমাদের শাস্ত্রেও কি স্ত্রী-ত্যাগের বিধি নাই ? আমার ত মনে হয়, আমরা যে ভাবে স্ত্রী-ত্যাগ করি, সেই • ভাবে ত্যাগ কর। আরও জঘন্ত ব্যাপার । আমরা যে এক স্ত্রী বৰ্ত্তমানে আর এক স্ত্রী গ্রহণ করিয়া থাকি, সেটা কি একটা পাশবিক হৃদয়-শূন্ততার পরিচায়ক নহে ! হিন্দুর শাস্ত্রে ত স্ত্রীমহিমার জলন্ত ইতিহাস দেখিতে পাওয়া যায়। স্ত্রী অৰ্দ্ধাঙ্গিণী, জীবন সঙ্গিনী ইত্যাদি। আমরা কিন্তু এই মহাবাণী বিস্তৃত হইয় স্ত্রী জাতির প্রতি লাঞ্ছনীর কি এক শেষ করিন ? আমবা আমাদের স্ত্রী-দিগকে এমন জঘন্ত ভাবে ত্যাগ করি, যাহাতে সমগ্র মানবসমাজের চক্ষে সে চিরলাঞ্ছিতা ও ঘৃণিত হইয়া থাকে। আমরা স্ত্রী-ত্যাগ করি,অৰ্থাৎ নিরুপায় সম্বলহীনাদিগকে বিশ্বের অবহেলার ভিতরে ছাড়িয়া দিই। এর চেয়ে সমাজের পক্ষে একটা লজ্জাস্কর ব্যবহার আর কি থাকিতে পারে? আপনাকে স্বরূপ ভাবে চিনিয়া লইতে আমাদের ষত বিলম্ব হইবে আমাদের এ জাতির মুক্তির পথও তত দূরে অবস্থিত থাকিবে। \o