পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যt দিল! শুধু বিদায়—এ যে একরূপ পথে বসানো! আজ সেই পাসাজোর কাছে গিয়া মুখ তুলিয়া নবাবের কাছে চাকরীর কথা তুলিতেও সে লজ্জা বোধ করিল। হায়, কেন সে টিউনিস্ লোন লইয়৷ এতখানি মাথা ঘামাইতে গিয়াছিল! এ দুৰ্ব্বদ্ধি তাহার কেন হইয়াছিল। জীবনগ্রন্থের পৃষ্ঠা হইতে সেই দুর্দিনের কথাটা রবার ঘষিয়া পেন্সিলের দাগের মতই যদি তুলিয়া ফেলা যাইত ! কিন্তু না, કામ হয় না—হয় না ! কবির মিথ্যা উপমার ভাবে মানুষকে মজাইয়া গিয়াছেন । কে বলিল;• জীবন গ্রন্থ-স্বরূপ ! গ্রন্থের একটা পাতা ছিড়িয়া সে-স্থলে আর একটা পান্ত জুড়িয়া কোনমতে তাহার সংস্থান-যোগটুকুকে খাড়া রাখা যায়, কিন্তু জীবন বড় কঠিন ব্যাপার! সেখানে কোথাও এতটুকু গোজামিল চলে ন-জোড়া-তাড়া থাটে না । এ এক নিৰ্ম্মম প্রফেলিকার মত চলিয়াছে—চলিয়াছে একটি ভুল করিলে যতই ছোট সে ভুল হোক – তাহ। আর ফিরাইবার উপায় নাই ! পথ নাই। অকরুণ কঠিন এ বিধান সন্দেহ নাই ! কীল বড়দিনের অধিবাস-সন্ধ্য। কাল সকালে সওগত আন চাইই—নহিলে মেয়েদের কাছে মাথা তুলিয়া দাড়ানো যাইবে না। এই যে জাজা আজ হইতে বায়ন লইয়। কাদিতে মুরু কবিয়াছে। সেজ মেয়েটিও স্নান পেত্রে তাহার পানে চাহিয়া ছিল— এলিসও কি বলিতে আসিয়া বাপের মুখের দিকে 5ोंश्छि कि छानि कि उदिग्न श्रीब्र किहूई বলিতে পারিল না--আর বন মামান—সে বুঝি নবাব రిసెరీ পিতার হৃদয়ের গুঢ় রহস্তের একটু আভাস পাইয়াছিল! বুঝি কিছু সন্দেহ কক্লিয়াছিল—তাই আর তাগাদ করে নাই ! •জুজের বুক ফাটিয়া যাইতেছিল। কাল সে কি কব্লিবে—কি করিয়া সওগাত আনিয়া মেয়েদের মুখে হাসির দীপ্তি ফুটাইবে । সারা পারি উৎসবের আমোদে মাতিয়া উঠিয়াছে। ছেলেমেয়ে নরনারী সকলেই উল্লাসে বিভোর—আর—সে এত দীন, এমন লক্ষ্মীছাড়া যে— জুজের চিন্তা-স্রোতে বাধা পড়িল । বাহিরে দ্বারে কে করাঘাত করিল। কে আসিল ? হেমারলিঙের ওখান হইতে কেহ আসিল না কি ! এলিস যাইয়া দ্বার খুলিয়া দিল । এক অপরিচিত তরুণ যুব কছুক্ষ প্রবেশ করিল। মেয়ের চকিতে ত্রস্ত হরিণীব মত ছুটয় পলাইয়া গেল। জুজ জিজ্ঞামু ভাবে মুখ তুলিয়া চাহিল। যুবা অভি. বাদন করিয়াই কস্তাদের সহিত বৃদ্ধেব এ মধুর অবসর-উপভোগে বাধা দেওয়ার জন্ত প্রথমেই ক্ষমা প্রার্থনা করিল, পরে বলিল, জুজের পুরাতন বন্ধু পাশাজোর কাছেই তাহার কৰ্ম্মপটুতার পরিচয় পাইঃ সে আজ র্তাহার দ্বারে বিশেষু প্রয়োজনে আসুিয়া হাজির হইয়াছে। যদি জুজ কয়েক মাস--সপ্তাহে তিন চারি ঘণ্টার মত অবসর করিয়া লইয়া ব্যাঙ্কের হিসাব-নিকাশ রাখা তাহাকে কিছু শিখাইয় দেন ! যুবার কথা শেষ হইবার পূৰ্ব্বেই জুজ • কম্পিত স্বরে কহিল,"বলেন কি ! তা আর সুবিধে হবে না ? খুব হবে—বিশেষ এখন ত আর আমার অন্ত কোন কাজ-কৰ্ম্ম নেই!