পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Sky 曾 t छांब्राउँी, কিন্তু বিপিন ত বাড়ীতে নাই । সে কাহার নিকট,হইতে এই আনন্দ-রাজ্যে প্রবেশের অধিকার পাইবে ? নবকিশোর ত বিপিনের বন্ধু, সে কি কিছু ব্যবস্থা করিতে পারে না ? বিপিনের লাইব্রেরীতে পাঠের অধিকার যদি সে দিতে না-ই পারে, সে নিজে ভ আপাতত কিছু বই সংগ্ৰহ করিয়া দিতে পারে । মালতী নবকিশোরের সাক্ষাৎ লাভের জন্ত ব্যস্ত হইয়া উঠিল। মালতীকে আনিয়া অবধি নবকিশোর অন্দরে কদাচিৎ আসে ; আসিলেও মালতীর সঙ্গে দেখা করে না । মালতীকে লইয়া জমিদারের অন্তঃপুরে যে বিষম আন্দোলন চলিতেছিল, তাহার যথেষ্ট আভাস নবকিশোর বাড়ীতে বসিয়াই পাইতেছিল ; তাহাতে সে মালতীর জন্ত ক্লেশ অনুভব করিতেছিল, বটে, কিন্তু তাহার কিছুমাত্র সাধ্য ছিল না যে সে কোনো প্রকার সাহায্য করিয়া মালতীকে রক্ষা করিতে পারে। সে কিঞ্চিৎ মাত্রও চেষ্টা করিলে মালতীর চারিদিকে যে কুৎসার কালি ছড়াইয়া পড়িবে, তাহাতে মালতীকে আরো ক্লেশ দেওয়াই হইবে। মালতীর নির্য্যাতনের সংবাদে সে নিজেই নিজের মনের মধ্যে উদ্ভিদ্যমান আগ্নেয়গিরির মতো জলিতেছিল, ফাটা আপনাকে প্রকাশ করিয়া ধরিতে শুধু বিপিনের আসার অপেক্ষ। বিপিন আসিলে তাহাকে মালতীর রক্ষায় নিযুক্ত করিতে হইবে স্থির করিয়া বিপিনের প্রতীক্ষায় নবকিশোর ছটফট করিতেছিল । বিপিন ঘরের ছেলে ; এক বাড়ীতে থাকিয়া সৰ্ব্বদাই মালতীর তত্ত্ব লওয়া তাহার পক্ষে কঠিন বা অশোভন ভাদ্রঃ ১৪২১ इहेष्व न ; उशरङ उॉशब७ निकांब्र সম্ভাবনা যথেষ্ট আছে, কিন্তু ভরসা শুধু এই ষে সহজে কেহ মুখ ফুটিয়া বিপিনের নামে কুৎসা রটনা করিতে পারিবে না । মালতী কিন্তু বিপিনকে চেনে না। তাহার আগমনে বই পড়িতে পারিবার সুবিধার সম্ভাবনা থাকিলেও, তাহার অনুমতি লইবার জন্ত নবকিশোরকেই দরকার হইবে। তাই নবকিশোরকে সংবাদ দিতে ইচ্ছা করিয়া একদিন সে তাহার মাসিমাকে বলিল— “মাসিম, তোমরা ত কোন কাজকৰ্ম্ম আমায় ছুতে দাও না। সমস্ত দিন চোরের মতন এমন একলাটি মুখ বুজে কেমন করে’ বলে থাকি বল ত ! ' খুড়িমা নাসিক কুঞ্চিত করিয়া বলিলেন— তা আমি কেমন করে জানৰ দিন তোমার কেমন করে” কাটুবে ? তুমি কি আমার বশে চলছ, যে আমার জিজ্ঞেস করতে এসেছ ? ঠ্যাকারে কারে সঙ্গে কথা কওয়া হয় না, কারো ত্রিসীমানায় যাওয়া হয় না। ইচ্ছে মুখে একলা থাকবি, তার আমি কি করব ? মালতী বলিল—তা মাসিম, তোমাদের বাড়ীর লোকগুলি যে রকমের, তাদের সঙ্গে মিলে মিশে চল আমার কৰ্ম্ম নয়। খুড়িমা তীব্র স্বরে বলিয়া উঠিলেন–কিন্তু তোর জন্তে যে আমার স্বৰূ খোয়ার হচ্ছে। উঠতে বসতে সবাই আমায় ব্যঙ্গ করে বলে— মালতীর মাসি, মালতীর মাসি ; আবার তোর কথা বলতে হলে তখন আর তোর নামটা কারো মনে পড়ে না, বলে—খুড়িমার বোনবি ।