বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৬০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جدون চাহিতেই আফ সি তাহাকে নিকটে আসিতে । ইঙ্গিত করিল। জাস্থলের প্রাণ সহসা যেন এক সোনালি নেশায় ভবিয়া উঠিল । তাহীর শিরাগুলার রক্ত তালে তালে নাচিয়া ছুটিল। পা তাহার কঁাপিতেছিল। সে নিকটে দাড়াইলে আফসিন আর কথা কষ্টিতে পারিল না—শুধু ফুলগুলার দিকে অঙ্গুলি দেখাইয়া একটা ইঙ্গিত করিল। জাম্বলে বুঝিল । সে ক্ষিপ্ৰ হস্তে একটা গুচ্ছ ছিড়িয়া লইয়া আফ সিনের হাতে ধরিল। আফু সিন্ট ফুল লইয়া মৃদু হাসুিল । & হাসি ! অনঙ্গ এষ্ট মধুর ক্ষণটুকুরই প্রতীক্ষা কবিতেছিল –সে তাহার ধনুর ছিলায় টান দিল। জামূলেব মুখ লাল হইয়া উঠিল। সে কোনমতে ভারতী আশ্বিন, ১৩২৯ জামুলে ভাগ্যলক্ষ্মীর কৃপা-আহরণে সক্ষম হইল । , * .* তাহাব পর ঘটনা-চক্রের আবর্তনে নবাব পারিতে আসিলেন। মাদাম কিন্তু টিউনিসেই রছিলেন। দুই জনের মনের এই মিলটুকু , চিরদিনই ছিন্ন রহিয়া গেল। পারিতে না থাকিলে নবাবের চলে না—অতুল ধনের অধিকারী হইয়া নিৰ্ব্বাসিতের মত দিন কাটইয়া তৃপ্তি নাই । যশ চাই, কীৰ্ত্তি চাই। দশজনকে দেখিয়া দেখাইয়া তবেই না "ধনের গৌরব ! নবাব পারিতে আসিলেন। মাদামের এ সব ভালো লাগে না। ব্যস্ত পারির উত্তাল,কোলাহল-কল্লোলে এই ধরণীর মিস্তৃত কোণ-অধিবাসিনীর সহ হয় না ! নিরাল চোখ তুলিয়া চাহিয়া দেখে, এ যেন কোন. টিউনিসের মাটিই ভাহার আরামের। মাদামের নননের অঙ্গী মৃধার পাত্রখানি হাতে ধরিয়া তাহার সম্মুখে উপস্থিত! জাস্থলে আপনাকে সম্বরণ করিতে পারিল . না । চারিদিকে চাহিয়া অতিসন্তর্পণে আফ সিনের হাতখানি আপনার হাতে তুলিয়া লইয়া শেহাতে মৃদ্ধ চুম্বনরেখা অঙ্কিত করিল। তাহার মনে হইল, স্বর্গ যেন আজ কোন স্বদূর দোক হইতে নামি আসিয়াছে ! আফ সিনেরও দেহ কঁাপিয়া উঠিল। তাহাব বুকের মধ্যটা দুলিয়া উঠিল । সে মুখ নত করিল—জাস্থলের দিকে আর চোখ তুলিয়৷ চাহিতে পারিল না । তাহার পর শুধুই আলো, শুধুই হসি, শুধুই আনন্দ ! এ আনন্দ চরম সার্থকতা লাভ করিল সেইদিন, যেদিন আফ সিনের সহিত মহাসমারোহে জামূলের জীবন-গ্রন্থি কাজেই আসা ঘটিল না । পুত্র কন্যা লইয় তিনি টিউনিসে রহিয়া গেলেন। নবাব একেল ভৃত্য-পরিজন লইয়া পারিতে আসিলেন। পারিতে আসিয়া সকল দেখিয় শুনিয় নবাবের প্রাণে দারুণ অতৃপ্তি জাগিয়া উঠিল । এখানে নিত্য মিলন মজলিস। স্বামী স্ত্রী এক সঙ্গে মিলিয়া আমোদ , উল্লাসের পূর্ণ পাত্র উপভোগ কবিতেছে। স্ত্রীপুরুষে অবাধ মিলন ! অব তিনি নিতান্তই নিঃসঙ্গ, একা! এখানে স্বামীর সকল কাজে স্ত্রীর কোমল হাত দুইটি কাঠিন্তের মধ্যেও অপরূপ ললিত্যের স্বষ্টি করিতেছে । স্বামীর সকল কাজে স্ত্রীর কি সাগ্রহ সহানুভূতি, সহজু "সহায়তা–তাহা যেমন অনায়াস, তেমনই রমণীয় ! কঠিনে কোমলে অপরূপ সামঞ্জস্ত ! আর তিনি, এক-এক—িতাহার আকাঙ্ক্ষী বাধা পড়িল। এই বিবাহ আশ্রয় করিয়াই উদ্যমে স্ত্রীর সহানুভূতি-পাত, দূরের কথা! স্ত্রী -