পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না করিত। কিন্তু আমি তখনই বলিয়াছিলাম যে,"নরেন্দ্ৰ তুমি বড় ভাল ছেলে নও।” i কে জানে নরেন্দ্রের মুখশ্ৰী আমার কোন | দাড়াইয়। অপেক্ষা করিত, छूद्र श्रउ ভারতী অা ১২৮৪) ধরিয়া সেই পুষ্করিণীর পাড়ে সেই নরিকেল - हे:ब्राजौ हिंमाशिग्र প্রেরিত হুইল । कजिकॉ* تنة-. মতে ভাল লাগিত না। আসল কথা এই, অমন বাল-বৃদ্ধ গম্ভীর সুবোধ শাস্ত বালক আমার ভাল লাগে না । অনুপকুমারের স্থাপিত পাঠশালায় রঘুনাথ সাৰ্ব্বভৌম নামে এক গুরুমহাশয় ছিলেন, তিনি নরেন্দ্রকে অপরিমিত ভাল বাসিতেন, নরেন্দ্রকে প্রায় আপনার বাড়িতে লইয়া যাইতেন এবং তালুপের নিকট তাহার যথেষ্ট প্রশংসা করিতেন । এট নরেন্দ্রই করুণীর সঙ্গী, করুণা নরেন্দ্রের সহিত সেই পুষ্করিণীর পড়ে গিয়া কাদার ঘর নির্মাণ করিত, ফুলের মাল গাথিত, এবং পিতার কাছে যে | সকল গণপ শুনিয়াছিল, তাহাঁই নরেঞ্জকে শুনাইত, কাল্পনিক বালিকার যত কপেনা সব নরেন্দ্রের উপরে ন্যস্ত হইল । করুণ। নরেন্দ্রকে এত ভাল বাসিত যে, কিছুক্ষণ তাহাকে না দেখিতে পাইল ভাল থাকিত না, লরেন্দ্র পাঠশালে গেলে সে সেই পার্থীটি হাতে করিয়া গৃহদ্বারে নরেন্দ্রকে দেখিলে তাড়াতাড়ি তাহার হাত গাছের তলায় আসিত, ও তাহার ক্ষণপনারচিত কতকি অস্তুত কথা শুনাইত। নরেন্দ্র ক্রমে কিছু বড় হইলে কলিকাতায় প্লাবিত তার বাতাস লাগিয়া পল্লীগ্রামের বালকের কতকগুলি উৎকট রোগ জন্মিল। শুনিয়াছি স্বলের বেতন ও পুস্তকাদি ক্রয় করিবার ব্যয় যাহা কিছু পাইত তাহাতে, নরেন্থের তামাকের খরচটা বেশ চলিত। ੱਲੋਂ শনিবারে দেশে যাইবার নিয়ম আছে, কিন্তু } নরেন্দ্র তাহার সঙ্গীদের মুখে শুনিল যে, শনিবারে যদি কলিকাতা ছাড়িয় যাওয়া হয় তবে গলায় দড়ি দিয়া মরাটাই বা কি মন্দ ? বালক বাটতে গিয়া অনুপকে । বুঝাইয়া দিল যে, সপ্তাহের মধ্যে দুই দিন বাড়িতে থাকিলে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ । হইতে পারবে না। অনুপ নরেন্দ্রের বিদ্যাভ্যাসে অনুরাগ দেখিয়া মনে মনে ঠিক দিয়া রাখলেন যে, বড় হইলে যে ডিপুটি মাজিস্টর হুইবে । তখন দুই এক মাস অন্তর নরেন্দ্র বাড়িতে আসিত, কিন্তু এ আর সে নরেন্দ্র নহে, পানের পিকে ওষ্ঠাধর করিয়া, মাথায় চাদর বাধিয়া, দুই পাশ্বের দুই সঙ্গীর গলা জড়াইয়। ধরিয়া, কনস্টেবলদের ভীতিজনক যে নরেন্দ্র প্রদোষে কলিকাতার গলিতে গলিতে iারামারি খুজিয়া বেড়াই, গাড়িতে ভদ্রলোক দেখিলে কদলীর অনুকরণে সৃদ্ধ অঙ্গুষ্ঠ প্রদর্শন করিত, নিরীহ পান্থ বেচারদিগের দেহে ধূলি নিক্ষেপ করিয়া নির্দেীর মত আকাশের দিকে তাকাইয়া থাকিত, এ সে নরেন্দ্র নহে; অতি নিরীহ, আসিয়াই অহুপকে টপ করিয়া প্রণাম করে, কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে, মৃত্যুম্বরে, নত মুখে, অতি দ্বীন ভাবে উত্তর দেয় এবং যে পথে অনুপ সৰ্ব্বদা খাতায়াত করেন সেই খানে