পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 as তত্ত্বজ্ঞান কৰ্তৃদুর প্রামাণিক। (ভারতী ভl ১২৮৪ | সাধন হইতেছে। পূর্বে অজ্ঞান-বিনা! শের জন্য যে সকল বিভীষিকা দলবদ্ধ করা হইয়াছিল, তাহারা এক্ষণকার আগ্নেয় হইয়া, অম্মদেশীয় তত্ত্বজ্ঞান-পক্ষে প্রভূত 1 অনিষ্ট সাধন করিতেছে। অতএব ব্যাস, বশিষ্ঠ, ব্রহ্ম, শিব এসকল কম্পিত নামের সাহায্যে তত্ত্বজ্ঞান প্রচার করা এক্ষণে যুক্তিসিদ্ধ নহে। এক্ষণে শ্রম স্বীকার পূর্বক | যুক্তি এবং বিচারের সাহায্যে আমাদের | পন করাই এক মাত্র প্রয়োজন । পূর্বকার পুরাণ-কৰ্ত্তারা মিথ্যার সাহায্যে অজ্ঞ ব্যক্তিI দিগের নিকট সত্য প্রচার করিতে সচেন্ট | হুইয়াছিলেন, ইহাতেই আমাদের দেশ বিদ্যার জন্মভূমি হইয়াও অবিদ্যাতে নিমগ্ন হইয় রহিয়াছে। মিথ্যার সাহায্যে সত্য | প্রচার করা, এবং অন্যায়োপার্জিত ধন দ্বারা পরোপকার করা, উভয়ই আপা ততঃ মধু কিন্তু পরিণামে বিষ । আমাদের দেশে পূর্বে প্রচুর পরিমাণে সত্য জানা is ছিল ; সত্য-প্রণালী দ্বারা সত্যের শিক্ষা দান হইত না বলিয়াই কাল ক্ৰমে সত্য নিৰ্জীৰ ভাবে পরিণত হইল। অতএব যেন তেন প্রকারেণ সত্য শিক্ষা দেওয়া

| করিয়াই সত্য শিক্ষণ দেওয়া কৰ্ত্তব্য । সত্যের ক খ হইতে আরম্ভ করিয়া উচ্চ উচ্চ সোপানে আরোহণ করিতে শিক্ষা দেওয়া অতীব কষ্টকর ব্যাপার তাহার | [अब छून नरे, किङ

তাহ ছাড়িয়া দেওয়া মনুষের কর্তব্য। শকট এবং তাড়িত বার্তাবহ দ্বারা তাড়িত । দেশের পুরাতন তত্ত্বজ্ঞানকে স্ব-পদে উথা { এখন আর চলে না। সত্য-প্রণালী অবলম্বন । कझेकद्र बलिग्न कि গ্রীক-দেশে দুই একটি কষ্টকর ব্যাপারের # সূত্রপাত হওয়াতেই তাহার প্রসাদাৎ ইউরোপের অজ্ঞানান্ধকার কাল ক্রমে বিনষ্ট । হইয়াছে। জ্যামিতি বিদ্যা আমাদের দেশে } না ছিল এমন নয়, দোষের মধ্যে কেবল । সত্য-প্রণালী অনুসারে তাহার শিক্ষণ প্রদান হইত না । গ্রীক দেশে যে অবধি জ্যামিতি বিদ্যা সত্য-প্রণালী অনুসারে প্রচারিত হয়, সেই অবধি করিয়া ইউরোপে বিজ্ঞান-শাস্ত্র ক্রমশই উচ্চ উচ্চ সোপানে পদনিক্ষেপ করিতেছে। আমাদের দেশে পৌরাণিক মিথ্যা-প্রণালী অনুসারে যে অবধি সত্যের প্রচার আরম্ভ হইয়াছে, সেই অবধিই বিদ্যা অবিদ্যা-দ্বারা আক্রান্ত হইয়া ক্রমশই হাস পাইয়া আসিয়াছে। ইহা দেখিয়া শুনিয়া মিথ্যার পথ দিয়া সতী প্রচার } করিতে কাহার আর প্রবৃত্তি জঙ্কিবে ? অতীব সুখের বিষয় এই যে, আমাদের দেশের দর্শন শাস্ত্র-সমূহে সত্য প্রণালীর প্রথম সূত্র-পাত হয় । - পুরাণের মধ্যে অনেক সত্য আছে, কিন্তু সত্যপ্রণালী একটুও নাই। দর্শনকারের সাধ্যানুসারে সত্য-প্রণালী অবলম্বন I পূর্বক স্বষ্টি তত্ব নিরূপণ করিয়াছেন, ইহাতেই তাহদের মূল সিদ্ধান্ত-গুলি এমনি পাক হইয়াছে যে, কিছুতেই তাহার আর মার নাই। পুরাণ-কৰ্ত্তার জন্য দিকে গিয়াছেন—তাহারা পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব আগ র্ঘ্যের নিকট হইতে সত্য উপাৰ্জন করিয়া মিথ্যার সাহায্যে সেই গুলি প্রচার করিতে