পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

!” - | ভারতী ভ্য ১২৮৪ তৃপ্তি হইত, এক্ষণে ঐ সময়ে সমস্ত ভারতবর্ষ পরিভ্রমণ করিয়া সন্তোষ হয় না, মনুষ্য • সকলে যাতায়াত করিত । বেঁচে ও মেয়ানা পাল্কী, বজরা, তানজান ইত্যাদিতে বড় লোকেই চড়িতেন, বিবাহের সময় কেবল মধ্যবিত্ত লোকে পাল্কী চড়িত, বড়মানুষের ছেলে বিবাহ করিতে গেলে তানজানে ঘাইত। রথ, হস্তী ও ঘোটকে চড়িয়া বিবাহ করিতে যাওয়া রাজা ও হিন্দুস্থানীদিগের মধ্যে চলিত ছিল। বাঙ্গালির মধ্যে ছুঁচুড়ানিবাসী মৃত নীলমণি হালদার প্রথমে গাড়ি চড়েন, তাহার সাহেব কোচম্যান ছিল, র্তাহার দেখাদেখি কলিকাতার বড় মানুষেরা গাড়ি ধরিলেন । পূর্বে এ প্রকার ছেকড়া গাড়ি ছিল না, দড়িতে বুলান নৌকা-অাঁকারের গাড়ি কয়েক খানা মাত্র ছিল। জলপথে বধু বা কন্যা আনিতে হইলে, জেলেডিঙ্গির উপর টপির করিয়া সতরঞ্চ মুড়িয়া আনা হইত। যদি কেহ কথন পীড়া বশতঃ বা বড়মনিষী করিয়া এক খানা ডিঙ্গী ভাড়া করিতেন, তাহা হইলে আত্মীয় বন্ধু বান্ধব সকলকেই সংবাদ দেওয়া হইত, সকলে একত্রিত হইয়া ডিঙ্গিচড়ীর আয়েস উপভোগ করিতেন। তৎকালে লোকে ডুলিও সৰ্ব্বদা ব্যবহার কল্পিত । ভুল তিন কৰ্ম্মে প্রায় ব্যবহৃত হুইত । ১ । স্ত্রীলোক আনয়ন বা প্রেরণ। ২ । পীড়িতকে গঙ্গাতীরস্থ করা । ৩ । অপটু যাত্রীর শ্ৰীক্ষেত্রে গমন । কালের গতিতে কি না হয়। পূৰ্ব্বে এক মাসে কাশীধামে পৌছিলে মনুষ্যের চোর ডাকাইতের গৃহস্থের সর্বনাশ कड़ियाँ অপায়ুঃ হইয়াছে, কাৰ্য্যও যথেষ্ট বাড়িয়াছে, সুতরাং অলপ সময়ে অধিক কাৰ্য্য করা আবশ্যক । সময়ের অভাব মোচন করিতে রেলগাড়ি কলের জাহাজ, টেলিগ্রাফ ইত্যাদির স্বষ্টি হইয়াছে, হয় ত শত বৎসর পরে দ্রুত গমন করিবার আরও কিছু নূতন উপায়ের আবিদ্ধিয়া হইবেক । বুড়ার সম্মান |-এখনকার নব্য স প্রদায় “ বুড়া “ মাত্রকেই “ ওল্ড ফুল” বলিয়া থাকেন, কিন্তু পূর্বে বুড়াদের অত্যন্ত সন্মান ছিল । গ্রামের বুড়া কলহ ভঞ্জন করিবেন, দলাদলি নিবারণ করি - বেন, পঞ্জিকা দেখিয়া দিনস্থির করিবেন, : বিবাহ শ্রাদ্ধ ও অন্যান্য কৰ্ম্মোপলক্ষে । আয়েtজনাদির ব্যবস্থা দিবেন, এমন কি, তিনি গ্রামের শিরোমণি, যাহা বলিবেন তাছাই হইবে । গ্রামের জামাতারা আসিয়া অগ্ৰে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবেন, নুতন লোক আসিয়া প্রথম র্তাহার সহিত আলাপ করিবেন, গ্রামস্থ নব্য দল তাহার নিকটে উচ্চ কথা কহিবে না, শীষ দিবে না, বা গান করিবে না, বেী ঝিরা সে পথে যাইলে মলের বাদ্য করিবে না, এমন কি, মাথায় ফেরত দিয়া সেখান দিয়া কেহ যাইবে না। ইংরাজদের টুপিখোলা প্রথা যেমন সন্মান স্থচক, মাথায় ফেরত না দিয়া যাওয়াও তক্রপ ছিল । বয়স্থের শৈশব-সরলতী—স্থত মহাত্মা দ্বারকানাথ ঠাকুর বড় চোর ডাকাইতের গল্প শুনিতে ভাল বাসিতেন ।