७t५ द६, ल°भ ग९५\ \ * प्राह उवृंख् कब्र *कहे कथ। *कब्र निtछहे দুঃখ করিতেছেন যে “জনসাধারণের জ্ঞান পরের অধীন। তাহার স্বাধীনভাবে শ্রুতির অর্থ অবধারণে অক্ষম । এজন্ত তাহারা বিখ্যাত প্রণেতাদিকৃত স্মৃতিকে আশ্রয় করে এবং প্তদ্বলেই শ্রীতির অর্থ নির্ণয় করে । আমরা নিজে যদি শ্রীতির কোন ব্যাথ্যা করি তাহা বিশ্বাস করিবে না।” স্বাধীন চিন্তার অভাবই লোক-সমাজের রোগ। কোনরূপ বিভী ধিকার ভয়ে লোকের স্বাধীন চিন্তার দ্বার রুদ্ধ করিলে, লোকের জ্ঞান যে আরও অধিকতর পরাধীন হইয়া পড়িবে ! স্বাধীনভাবে তর্ক করা এবং সকলকে তর্ক করিতে দেওয়াই সেই পরাধীনতা মোচনের একমাত্র উপায় । সত্যই মানবের একমাত্র লক্ষ্য। “লোকে বিশ্বাস করিবে ন৷” এই ভয়ে সত্য যাহ। বুঞ্চিয়াছ তাহ গোপন করা অথবা "স্মৃতি প্রণে হাদিগের প্রতি লোকের প্রগাঢ় শ্রদ্ধা অতএব সত্য হউক আর না হউক স্মৃতি অনুসারে বেদের ব্যাখ্যা করিতে হয়”— এরূপ কথা শঙ্করের পক্ষে শোভা পায় না । তাহাতে সত্যের প্রতি সমুচিত আস্থ। প্রদর্শন করা হয় না। তর্কের উদ্দেগু সত্য নিদ্ধারণ, তকদ্বারা সভ্যপথ স্থির করিয়া সেই পথে চলিতে হয়। তর্কে ভ্রম হইতে পারে, কিন্তু সেই ভ্রমও তর্ক দ্বারাই সংশোধন হয়, কোনরূপ কল্পিত বিভীষিক বা লোক-বুদ্ধির প্রতি অনাস্থা প্রদর্শন দ্বারা নয়। সভ্য-পথের জ্ঞান লাভ হইলেই তর্কের প্রয়োজন সিদ্ধ ইঠল। সে পথে চলা না চলা মানবের श्रेइड्रोप्लोईङ्ग प्रोर्बनिरु भिठ्ठोरु । ఫి8ఫె প্রযত্ন এবং পুরুষকার সাপেক্ষ। তর্ক পুরুষকারের স্থান গ্রহণ করিতে পারে না । গম্য পথ জানিয়াও অনেকে সে পথে চলে না, বা বিপথে চলে, বা বিস্তও করিয়া বৃথা সময় নষ্ট করে। কিন্তু সে দোষের জন্ত বাদ বা তর্ক দায়ী হইতে পারে না। আমেরিকাযাত্রী তর্ক দ্বারাই তাহার গম্যপথ নির্ণয় করিবে, কিন্তু তর্ক তাহাকে আমেরিকা লইয়া যাইবে না। আমেরিকাগমন পুরুষকার এবং প্রত্নসাপেক্ষ। নিৰ্ম্মক্তভাবে সত্যের জন্যই সত্য নিৰ্দ্ধারণ মানসে তর্ক করিলে যদি বেদের অপৌরুষেয়ত্ব বা স্বতঃসিদ্ধত্ব চলিয়া যায় যাউক । ভয় কি ? বরং তাঁহাতে সত্যের পথই কণ্টকমুক্ত হইবে। সত্যই মানবাত্মার অন্ন জল । শ্রীতি স্বয়ংই সত্যের . মহিমা কীৰ্ত্তন করিয়া, সত্য জিজ্ঞাসুকে উৎসাহিত করিতেছেঃ—“সভ্যমেব জয়তে নামৃতং, সত্যেন পন্থা বিততো দেবযান । যেন ক্রমন্ত্যুষয়ে হাপ্ত কাম, যত্র তৎসত্যন্ত পরমং নিধানং* ॥ মুগুক ॥ “সত্যেরই জয় মিথ্যার নয়—সত্যের ভিত্তিতেই দেবলোকের পথ প্রতিষ্ঠিত, যে পথ আশ্রয় করিয়া পূর্ণকাম ঋষিগণ সত্যের পরমাশ্রয় সেই ব্ৰহ্মপদ প্রাপ্ত হন।” তর্কদ্বারা শ্রীতির প্রামাণ্য সম্যক প্রতিষ্ঠিত না করিয়া ব্ৰহ্ম-জ্ঞান শ্রীতি-মুলক, শঙ্করের এই সিদ্ধান্ত দোষশূন্ত হইতে পারে ন। জরাসন্ধের দেয়-সন্ধির ন্তায় ইহাতেই শঙ্করের দার্শনিক সিদ্ধাত্তের দুৰ্ব্বলতা। ঐদ্বিজদাস দত্ত ।
