পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১০০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st8 অনেকের প্রতিই আমার কথা খাটে। এ যুগের কবিত, জ্যোংস্কার মত অস্পষ্ট, স্বপ্নময়। সে যুগের কবিতা,—সবিতারই মত স্ব প্রকাশ– স্বপ্নস্থায় শুষ্ঠ। বিহারীলাল, তাহার অষ্ঠতম দৃষ্টান্ত। তাহার কবিতা, সবল ভাযায় যখন ষে ভাব পরিস্ফট করিতে চাহিয়াছে,—তাহ করিয়াছে,–কিন্তু তাহার জন্ত কদাপি বক্র পন্থ অবলম্বন করে নাই । ইহা তাহার ষ্ট বিশেষত্ব,—কি সে যুগেব বিশেষত্ব, পা কেরা ভাবিয়া দেখুন। . নারীর দেবীত্বে, বিচারীলালের অখণ্ড বিশ্বাস। তাহার মতে, রমণী কেবল শয্যাসঙ্গিনী নন,—-পরস্তু, তিনি দেবী, তিনি মহিমময়ী, তিনি বিশ্বদেবের শ্রেষ্ঠ আশীৰ্ব্বাদ । . বলিতে কি, এই নারীবন্দনাই যেন বিহারীলালের কবিতায় প্রাণসঞ্চfর করিয়াছে—তৎপূজক কাব্য-পীঠে ধ্রুবের মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছে। এই দিক দিয়া দেখিলে, বিহারীলালকে অদ্বিতীয় বলিয়া মনে श्झ ॥ - অতঃপর বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু সম্বন্ধে দু’ একটী কথা বলিয়া এপাব কার মত বিদায় লইব । কেবল, কল্পনাকে সঙ্গিনী করিয়া, বঙ্কিমচন্দ্র উপন্তাসরচনায় হাত দেন নাই । নগেন্দ্রনাথ, দেবেন্দ্রনাথ গোবিন্দলাল ও হরলাল প্রভৃতি সকলেই এক এক জল জীবন্ত মানব,—যে মানবকে . আমরা দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মধ্যে,—আমাদের ংসারে, অামাদের সমাজে, আমাদের প্রাত্যহিক সুখদুঃখের বিচিত্র ঘাত প্রতিঘাতের ভিতরে সর্বদাই দেখিতে পাই। তাঙ্গার হ্রদেব ঘোষালে, স্বৰ্গীয় জগদীশনাথ রায়ের আমাদের छांब्रडौ । @ মাধ, ^రి), চরিত্র নিপুণ তুলিকায় চিন্ত্রিত হইয়াrছ । বঙ্কিমচন্দ্রের প্রাথমিক উপন্যাসগুলিতে বাস্থ। অপেক্ষ কল্পনার ছায়াপাত অধিক প্রকট হুঃ উঠিলেও, ত:হাদের ভিতবে হঠাৎ এমন এক একটী বাস্তব চরিত্রের সহিত আমাদের পরিৎস সাধন হইয়া যায়,-যাহীদের সহিত কল্পন;" লীলাখেলা বড় অল্প । যেমন, দুর্গেশননিনী ; বিদ্যাদিগগজ। আমবা শুনিয়াছি, কাটাল, পাড়ায় বিস্তাদিগ্গজেব জীবন্ত প্রতিমূর্তাি বিদ্যমান ছিলেন । তাছাব নাম জানি না । তবে, তিনি সৰ্ব্বদাই বঙ্কিমচন্দ্রের বাড়ীতে আসা-যা ওয়া করিতেন । তিনি একজন নিৰ্ব্বোধ রসিক ছিলেন । রসিক তাহার প্রকৃত চরিত্রের কথা বলা হয় না। কারণ, তিনি নিজে রসিকতা করিতেfছ उॉदिब्रां ब्रम छ्फुझे८ठन मां-८थाङ्ञ१ ॐाङt१ ভাবভঙ্গী ও কথাবাৰ্ত্তার ভিতর হইতে প্রচুর হাস্ত রস আবিষ্কাব করতেন । অর্থাং তিনি হাস্তাণব নন,—হাস্তাম্পদ বটে। মানবের বহিঃ প্রকৃতির অবিকল প্রতিরূপ: দীনবন্ধুত্ব নাটকে ও দেখা যায় । আমরা এষ্ট বিষয়ে দু’একটী গল্প বলিব । দীনবন্ধু যে iাটালপাড়ায় মাঝে মাঝে যাইতেন,—এ কথা আমবা আগেই বলিয়াছি। সেবারে ও দীনবন্ধ ও স্বৰ্গীয় কাৰ্ত্তিকেয়চন্দ্র “রায় প্রভৃতি কয়েক জনে কাটালপাড়ায় যাইতেছিলেন । কান্তিকেয় বাবু , কবি শ্ৰীযুত দ্বিজেন্দ্রলালের পিতা । তিনি কৃষ্ণনগরের রাজার দেওয়ানী করিয়া যথেষ্ট প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন । কান্তিকেয় বাবুর সঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রের হৃদ্য তা ছিল এবং তিনি ও মাঝে মাঝে কাটালপাড়ায় যাইতেন ! যাহা হউক, সকলে যখন নৈহাটতে বলিলে