পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতী । বৈশাখ, ১৩১৮ কালোর আলে। । সঙ্গীতের প্রকাশ স্বরে এবং বাণীতে, কাব্যের প্রকাশ ভাষায় ও ছন্মে, শিল্পের প্রকাশ তেমনি রেখার বর্ণে এবং গঠনে, কিন্তু ঐগুলা সমস্তই শিল্পের বহিরঙ্গিন পদার্থ, যেন মন ভুলাইবুর সুন্দর ঝুমঝুমি! কবির মনোবীণায় যে মুর বাজিতেছে, যে ছম্ব যে কথা জাগিতেছে, শিল্পাব মনে যে বিচিত্র ছবি ফুটিয়া উঠিতেছে লেই শুর্গাকে সাধারণের চক্ষুকর্ণের গোচর করিবার জন্তই কবিতা ছন্দ রেখা ধর্ণ ইত্যাদি ; সুতরাং এই . বঙ্কিরঙ্গিন পদার্থগুলাকেই আসল • বলিয়া ভ্ৰম করিও । না। বুধপাড়ানো গান ঘুম ; আনুবার উপায় মাত্র, রঙ্গিন ঝুমঝুমিটা কান্না ভুলাইবার জন্ত" মাতৃস্নেহের একট। –নাই মামার 'ಕಡ್ কাণ মাম! গোছের -প্রতিচ্ছায়। সকল সঙ্গীতের সঙ্গে একটা অনাগত স্বর, . সকল কবিতার ভিতরে একটা অলিখিত কাব্য এবং সকল শিল্পের অন্তরে একটা প্রচ্ছন্নরূপ বর্তমান থাকে, এবং সেই অলিখিত 'অনাহুত অপ্রকাশিতকে প্রকাশিতৃ করিবার প্রকাশিত দেধিবার ইচ্ছা ও চেষ্টাতে cङjभ! डे . বল বা তোমার শিল্পের সঙ্গীতের আর. কাব্যেরই বন্ধ চরিতীৰ্থত । মায়ের ঘুেমন স্নেহ-কণ্ঠ ধুমপাড়ানো গানের বিচিত্র মুরের নানা কথার ভিতরে ভিতরে বর্তমান থাকিয়া সমস্ত গানটাকে একটা অপুৰ্ব্ব মাধুর্য, প্রদান করে, তেমনি যথার্থ শিল্পের অস্তরে অন্তয়ে-গাছের পাতায় পৃাতায় স্কুলে ফলে, শাখায় প্রশাখায় জীবনী বুসের মত-একটা অনিৰ্ব্বচনীয় ঐ বহিরঙ্গিন গঠন বর্ণন ইত্যাদিকে সজীবত দান করিয়া বিদ্যমান থাকে । নবরসের নয় মূৰ্ত্তি অতি স্বক্ষ অতি অনুপম এই অমৃত মুক্তিরই স্থল আবরণ, আর রেখা বর্ণ ইত্যাদি—এই নখরসকে সাজাইবার বহির্বাস । ঠিক যেন স্বত্রায়াকে ঘেরিয়া পঞ্চভূতের সমষ্টি, তাহার উপরে নান বর্ণের নানী ঢঙ্গের নানা বেশ ! মানুষের আত্মা মাতুম্বে দৈহিক সোঁকুমাৰ্য্য এবং বৈকল্যের মধ্যে যতটা পার্থক্য এবং যেটুকু সংযোগ, শিল্পের গোচর অংশটার সঙ্গে তাহার অস্তনিহিত সার পদার্থটির তেমনি যোগাযোগ । কুম্ভ যেমন বারিকে ধারণ করিয়া সার্থক হয়, শিল্প সামগ্ৰীও তেমনি এই অমৃঙ্গবসকে ধারণ কবিয়াই চরিতার্থতা লাভ করে ; নচেৎ তাহা শূণ্ঠ নিরর্থক । নিরর্থক এবং সার্থক এই দুই প্রকার শিল্পেৰ প্ৰভেদ বোঝার নাম শিল্প জ্ঞান এবং এই জ্ঞানলাভের উদ্দেশেই শিল্পচর্চা। “বিশ্বজগতের নব নব পিচিত্রতার মধ্যে ද් .এককে পাইবার জন্ত যোগীর প্রয়াস আর শিল্পীর সমস্ত চেষ্ট নবরসের বিচিত্র রূপের ভিতরে সেই অমৃ হন্ধেপকে পাইবার জন্ত । স্থিরচিত্ত, যোগী, মরণেব ভীষণতায়, জীবনের নবীনতা, রিসের ' আলোকে, রাত্রির অন্ধকারে, ভয়ের মধ্যে: যিনি, মরণে জীবনে ধিনি, আঁধারে আলোকে নি এক অথচ বিচিত্র তাড়ার সন্ধান পাইয়া বলিলেন ‘বেদাহমেতম্‌ বলিয়াই মনে इहेश-श्रांश যাহাকে জানিলাম 'তিন কে খুলিয়৷ বলি ‘বেদাহমেত পুরুষমৃ মহাস্তম্:--ওগো আমি