পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Φίσ’ সমস্তায় পড়িয়াছিল । পুত্র-বিক্রয় ! কথাটা তীরের মত তাহার প্রাণে বিধিতেছিল, কিন্তু আর একটা দিক সে বড় উজ্জ্বল দেখিতেছিল --এই সব সংসারের 'দৈন্ত, অফিসের কৃষ্ট একান্ত অসহ্য হইয়া উঠিয়াছিল। ইহাতে পাপই বা কি ? পুত্রের ভালর জন্তই ত সে এ ব্যবস্থা করিতেছে! ইহা অপেক্ষ ছেলেটা না থাইয়া মরিবে, তাহা হইলেই কি কীৰ্ত্তির ধ্বজা উড়িতে থাকিবে , . স্ত্রী ফিরিলে, লে কম্পিত কণ্ঠে কহিল, “ওগো—শুনছ ?” • স্ত্রী তীব্রম্বরে উত্তর দিল, “কি ?” “তা হলে কি বলব ? লোক বসে রয়েছে -- ছেলেটার ভাল হতু—তাই বলছি, একটু বিবেচনা কর—পাগলানি করে না—” , স্ত্রী একধর ভাবির লইয়াছিল—এই যে তাহার স্বামী এতটা মহত্ব দেখাইয়া দেশের বিষয় ছাড়িয়া আসিয়াছে, কৈ, ভগবান তৃ মুখ তুলিয়া চাহিলেন না ! এ ত্যাগের মূল্য তিনি বুঝিলেন না! একটা ভাল চাকুরি ও তাহার স্বামীর অদৃষ্টি জুটিল না! তবেআর পুত্রকে বা বিক্রয়ই কেন ? এত পুত্রের ‘মুখের ভ্ৰষ্ঠ তাহারা ত্যাগু স্বীকার করিতেছে! এমন সময় পুন্তু আসিয়া কাদিয়া কহিল, “ম-ওদের বিশু আমাকে মেরেছে মান-” & মাতৃহৃদয় নিমেষে অমনি স্নেহের রসে ভরিয়ু উঠিল—পুত্রকে রক্ষে তুলিয়া মুম্বর ছোট মুখখানিতে চুম্বন করিয়া, মা বললেন, “কেঁদে না মাণিক-আমি তাকে মারবে”— তারাশঙ্কর কহিল, “তা হলে কি বলব ?” স্ত্রী কহিল—“ত জুবার জিজ্ঞাসা छtच्नउँौं ! বৈশাখ, ১৩১৮ করছ ! বলোগে ছেলে বিক্রী করা আমাদের ব্যবসা নয়—” t তারাশঙ্কর সে মাতৃমূৰ্ত্তির মিকট একান্ত সঙ্কুচিত হইয়া পড়িল। যন্ত্র-চালিতের মত সে বাহিরে চলিয়া গেল । . সেইদিন অপরাহুে সংবাদ পাওয়া গেল, মুরারির কনিষ্ঠ পুত্রটিকে মনসাখালির জমিদার হরকান্ত চৌধুরী পোষ্যপুত্র গ্রহণ করিবে, কথাবাৰ্ত্ত স্থির হইরা গিয়াছে,—কাশীতেই মহা ধূমধামে মহুষ্ঠানক্রিয়া সম্পাদিত হইবে ! শুনিয়l • পাড়ার লোক কেহ বলিল, ' “একেই বলে বরাত !” কেহ বা আবার পুত্রের জনক-জননীর উদেখে বলিল, “মুখে আগুন আমন বাপ-মার !” 8 তাহার পর প্রায় বার-তের বৎসর অতীত হইয়াছে। নানা দুঃখ-দৈন্তের মধ্য দিয়া তারাশঙ্করের কত দুবংসর কাটিয়া গিয়াছে ! কনিষ্টট ব্যতীত তাহার অপর । পুত্রগুলি একে . একে ফাকি দিয়া চলিয়া গিয়াছে— এবং সৈটিও অত্যধিক আদরে বিগড়াইয়া বসিয়াছে। বৃদ্ধ পিতা চাকুরি করিয়া যে কয়টি মুদ্রা আনিয়া দেয়, তাহাতেই ংসার চলে। অপদার্থ পুত্র প্রিয়শঙ্কর অসির বাবুদিগের সখের থিয়েটারে নায়িকা সাজিয়া' আসর মাতাইয়৷ তুলে,”বাবুদের বৈঠকখানাতেই তাহার সময় কাটিয়া যায়-সংসারের ভাবনার মাথা ঘামানো তাহার কাজ নয় ! এমন সময় বৃদ্ধ তারাশঙ্কর নিতান্ত অৰ্ব্বাচনের মত 'একদিন ইহজগতের সহিত সকল সম্পর্ক চুকাইয়া বসিল। প্রিয়শঙ্কর