পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

رساوه কাৰ্য্য করিতেছে, তাহার প্রভাবে উদ্ভিদ ও জীবজগতের প্রাণস্বরূপ অঙ্গারাস্লজান ও ত্বমজান বাস্পত্ত্বয় ক্রমশই স্বল্পত প্রাপ্ত জুইতেছে। এ কথাও সত্য যে মঙ্গুষ্যের দৈনন্দিন কার্য্যপ্রণালী অঙ্গারাস্লবাম্পের বৃদ্ধি করিতেছে । প্রত্যেক কলকারখানার চিমনী নির্গত ধূমরাশি ও সভ্যতামূলভ বিবিধ কৃত্রিম উপায়োৎপন্ন প্রভূত অঙ্গারায়বাষ্প প্রতিনিয়ত আকাশমাগ পরিব্যাপ্ত করিতেছে ; এবং পৃথিবীর আভ্যন্তরীণ ক্রিয়াযোগেও অঙ্গারামবাষ্প প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হইতেছে। অতএব দেখা যাইতেছে যে মানবের প্রাণস্বরূপ অমঙ্গানবাম্পের ক্রমবিলোপ দৃষ্ট হইলেও উদ্ভিদ জীবনোপযোগী মঙ্গাবাম ' বাষ্পরাশির পরিমাণ অনেকটা অব্যাহত রহিতেছে । সুতরাং পরিশেষে আমরা এষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারি যে, সুদূর ভবিষ্যতে ভূপৃষ্ঠ প্রাণজীবন অপেক্ষ উদ্ভিদ জীবনেরই মধক অম্ল কুল হইবে এবং এষ্ট রূপ অবস্থায় পৃথিবীর ইতিহাসের শেষ অধ্যায়, ভারতী । পরিমাণ । বৈশাখ, ১৩১৮ প্রথম অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি করবে। ভূতশ্ববিদ ব্যক্তিমাত্রেই অবগত আছেন যে, উদ্ভিদনিচয়ই পৃথিবীর আদিম অধিবাসী ; মানবের আবির্ভাব ক্রমবিকাশের ইতিহাসে অধুনাতন। অভিব্যক্তির চরম ফলস্বরূপ যাহারা সৰ্ব্বশেষে ধরাপৃষ্ঠে আবিভূত হইয়াছিল, বিধাতাব বিচিত্রবিধানে তাহারাই মহাযাত্রাব প্রথম পৃথিক ইয়া সৰ্ব্বাগে ভূপৃষ্ঠ হইতে বিলুপ্ত হুইবে । এখন জিজ্ঞাস্ত এই যে, অম্লজান বাম্পের ক্রমিক অপচয় যদি প্রাণিজীবননাশের আশঙ্কার কারণ হয় তাহা হইলে মনুষ্যসাধ্য কোন ৭ উপায়ে ইহার নিরাকরণ হইতে পারে কি না ? এ পর্য্যস্ত বৈজ্ঞানিকগণ অম্লজানবাম্পের উৎপাদনে সমর্থ হন নাই ; কিন্তু দিন দিন বিজ্ঞানের যেরূপ দ্রুত উন্নতি দেখা যাইতেছে, তাহাতে আমবা কি আশা করিতে পারি ন৷ যে, ভবিষ্যৎ রসায়ন-তত্ত্ববিদগণ প্রচুর পরিমাণে অম্লজান বাষ্প উৎপাদনেব প্রণালী উদ্ভাবন করিয়া মনুযোব এই ধ্বংসোন্মুথ গতি রোধ করিতে সমর্থ হইবেন ! শ্ৰীদীনবন্ধু সেন । মাতৃঋণ । ( উপস্থার্স ) প্রথম অধ্যায় । প্রথম পরিচ্ছেদ । বাড়ীর ফটকে লাগিল। একটি বালকের হাত মাতা-পুত্র । ধরিয়া এক সুন্দরী গাড়ী হষ্টতে নামিল । তখন শীতের কুয়াশ ঠেলিয়৷ আকাশের অনেকখানি উপরে উঠিয়াছে। একখানি মুদৃপ্ত ব্রুহাম মাসিয়া প্রকাণ্ড স্কুল সুর্য্য · বালকটি ঈষৎ কৃশাঙ্গ, দেখিতে দিব্য মুত্র, পরিচ্ছদেও একট পারিপাট্য ছিল । বয়স সাত আট বৎসরের বেশী হইবে না !