পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতী । اپريل সে কছিল, “মাপ করবেন-পরিচয়টা দিতে ভুলে গেছলাম।” পকেট হইতে হস্তিদন্তনিৰ্ম্মিত কার্ড-কেস বাহির করিয়া তাহা হইতে একখানি সুন্দর কার্ড লষ্টয়া রমণী অধ্যক্ষের হাতে দিল ! তাহাতে পরিষ্কার ক্ষুদ্র অক্ষরে লেখা ছিল,— f “ইদ দে ধারণাস ।” অধ্যক্ষ মৃদু হাসিয়া কহিলেন, “নাম তাহলে জ্যাক দে বারাসি ?” বক্তার সুরে কেমন একটা প্রচ্ছন্ন বিদ্রুপ মিশানো ছিল । সঙ্কোচ কাটাইয়া রমণী কহিল, “নিশ্চয় !" অধ্যক্ষ গম্ভীর স্বরে কহিলেন, “তাই বলছি ". 4 কথাটা বলিয়া অধ্যক্ষ কার্ড হস্তে লইয়া উঠিলেন! সম্মুখের সাশি খুললেন। বাহিরে গাছপাগুলার উপর তখন স্থয্যের রশ্মি ' ছড়াইয়া পড়িয়াছে! সাশির পশ্চাতে একজন তরুণ শিক্ষক আসিয়া দেখা দিল । so অধ্যক্ষ কছিলেন, “দু ফে, এই ছেলেটিকে একবার ওধারে নিয়ে যাও—চারিধার দেখিয়ে আনো ।” জ্যাকের বুক কঁাপিয়া উঠিল । সে ভাবিল, মাতাঁর সঙ্গ ত্যাগ করাইবার জন্ত এ একটা ছল মাত্র । হতাশভাবে সে মীর মুখের পানে চাহিল—তাহার চোখ ফাটিয়া 'জল বাহির হইবার উপক্ৰম করি । অধ্যক্ষ বুঝিলেন, মিষ্টস্বরে কছিলেন, “যাও জ্যাক, ভয় কি ? তোমার মা ত এখনই যাচ্ছেন না—ঘুরে এস-ইনি এখানেই এখন আছেন!” d জ্যাক তবু নড়িতে চাহিলু না--স্থার পানে চাহিয়া মার নিকট সে সরিয়া আসিল ! ম৷ বৈশাখ, ১৩১৮ বলিল, “যাও—জ্যাক, ছিঃ, লক্ষ্মী তুমি যে !” কোন কথা না বলিয়া জ্যাক শিক্ষকের সহিত চলিয়া গেল ! জ্যাক চলিয়া যাইলে কক্ষমধ্যে কাহার ও মুথে অনেকক্ষণ কথা ফুটিল না । বাহিরে ছাত্রের দণ থেলা করিতেছিল। তাহাদের উল্লাস-চীৎকার কক্ষমধ্যে ভাসিয়া আসিতেছিল—দুই একটা পাখী ডাকিতেছিল, দূরে কে কাঠ কাটিতেছিল, সেই শব এবং পিয়ানের ঝঙ্কার সমস্ত মিলিয়া এক সুমধুর মিশ্র রাগিণীর সঞ্চার করিয়াছিল! এই শীতের যন্ত্রণাকাতর মুমুমু মলিন রুদ্ধ দিনগুলার মধ্যে ব্যগ্র জীবনের একটা স্পষ্ট আভাষ পা ওয়া যাইতেছিল ! অধ্যক্ষ প্রথমেই কথা কহিলেন–জ্যাকের শান্ত মধুর ভাবে তাহার হৃদয়ে মায়া পড়িয়াছিল -- তিনি কহিলেন, “ছেলেটি আপনাকে বড় ভালবাসে ” মাদাম বারাসির যেন চমক ভাঙ্গিল, কহিল,"তা আর হবে না ! এত বড় পৃথিবীতে ছেলে, .মা ছাড়া ওর কেউ নেই ! আহ, বেচার জ্যাক ৷” "আপনি বিধবা * . “ই মশায় ! আমার স্বামী দশ বৎসর হল মারা গেছেন । সে কি ভয়ঙ্কর মৃত্যু ! যার উপন্যাস লেখেন তারা কল্পনার চোখে কত দুঃখ-যন্ত্রণ দেখন–কিন্তু তার জানেন ন, আমাদের এই সাদ।-সিধা জীবনে কি সব অসহ দুঃখ-যন্ত্রণ ভোগ করতে হয়, তা থেকে তাদের দশখান উপস্তাসের খোরাক জোগান যেতে, পারে। আমার নিজের জীবনই ভার এক-কি ভীষণ পরিচয়! আমার