পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৮৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও৫শ ৱৰ্থ, নবম সংখ্য। "গ কর—চুপ কর-ধর ধর আমি সাম্লাতে নতুন৷ ” জাহ্নবী তখন বেতসু পত্রের, স্যায় ৰু তেছিলেন, প্রকৃতির ষ্ঠায় তাহারও চোখের সঙ্গ যেন অন্ধকার জমাট বাধিস্থ দাড়াইল ; সামলাষ্টয় অতি কষ্টে তিন জনে সংজ্ঞাশুষ্ঠ দেহ গষ্ট গৃঙ্গে তুলিলেন। জ্যেঠাইমা তাঙ্গর দেনাপ্রাপ্ত পা লইয়। তখন বিকট গর্জন কfংতেছিলেন, এইবারে থামিয়া গেলেন । সন্ত ডাকিয়া বলিল “জ্যেঠাষ্টম একটু আগুন কর—শীগগব।” খেড়াইয়। খোড়াইয়া জোঠাষ্টমা ঘুটে জালিয়া কড়ায় আগুন করিতে লাগিলেন । সিক্ত বস্থাদি ছাড়াইয়া সৰ্ব্বাঙ্গ উত্তমরূপে মুছইয়া রামশঙ্করকে শয্যায় শোয়ান হইল । তখন ও তিনি হতজ্ঞান। সতী একটা ভাঙা দিলুক হইতে একটা ছেড়া ফ্রানেলের জাম বাচর করিয়৷ পিতার হস্তপদ তস্থাৎ ঘর্ষণ করতে লাগিল ! এদিকে অগ্নি ও প্রস্তুত হইল, হস্ত ও বস্ত্রের পুটুলি গরম করিয়া সেক ইষ্টতে লাগিল। জাহ্রণী ও সতী নাংব নিবাক, সাবিত্রী একবার রুদ্ধকণ্ঠে উকিল বাবা, বাবা ।” কালীপদ স্তম্ভিতভাবে এক ধরে দাড়াষ্টয়াছিল, সাবিত্রীর স্ববে সাংস পাঙ্গ কাদিয়া উঠিল। সভা বলিল “কালী, চুপ কব দিনে ভয়কি, বাবা ভাল আছে।” মাতাকে বলিল “ম একটু দুধ গরম করে দাও।” জাৰী ক্ষীণস্বরে বলিলেন” তুই অলি আমি উঠতে পাচ্চিন।” সন্তী দুধ ** করিল, ঝিনুকে করিয়া পিতার মুখে শল্প ”ম দিতে লাগিল, ক্রমে স্থিনি একটু બેડિનન, ફૂલ খাইলেন, জোরে কয়েকট। বিধ ফেলিলেন। সকলে একটু (# 38. অন্নপূর্ণার মন্দিব। bペ午 নড়িয়া চড়িয়া বসিল, এতক্ষণ যেন অঙ্গ সঞ্চালনে ও কাহারে সাহস হইতেছিলনা। ক্রমে রামশঙ্কর চক্ষু মেলিলেন, একটু যেন পাশ্ব পরিবর্তনের চেষ্টা করিলেন । সতী ডাকিল “বাবা ” : রামশঙ্কর কন্যার দিকে চাছিলেন, ক্ষীণস্বরে বলিলেন “কে ?” বাবা “আমি সতী ।” মুমুম্ব রামশঙ্কর সহসা যেন কি এক শক্তিতে উত্তেজিত কৃষ্টয়া উঠিলেন। দক্ষিণ হস্ত স্থার সবলে কস্তাকে ঠেলিয়া দিয়া বলিলেন “সরে যা, দূর হয়ে যা সৰ্ব্বনাশি, আমার আর কি কয়বি ! থাবি ? দুর হ !” সতী সরিয়া বসিল । জাহ্নবী মুখ নত করিয়া নীরবে স্বামীব অঙ্গে উত্তাপ দতে লাগিলেন, সাবিত্ৰী চোখ নীচু কৰিল। জ্যেঠাইম অস্ফুট গুঞ্জনে বলিলেন “মন্ত্ৰ মিন্‌ঙ্গে—স্বভাল যায়ন মলে ।” জাহ্নবী বলিলেন "এখন একটু ভাল বোধ হচ্চে কি ! কেমন ?” " আর কেমন আছি থাকাথাকির অfঞ্জ শেষ। আর দেখছ কি জাহ্লবি, আর পারছি না ।” জহি ঐ নীববে রহিলেন । সাবিত্রী কাদিয়া উঠিল “ অমন কথা বল’ন বাবা।” রামশঙ্কর তীব্রভৃষ্টতে কষ্টার পানে চা হয়। বলিলেন “কেন ? কিসের কষ্ট ? আমি তোমাদেব কথনও বাপের উপযুক্ত কাজ কবেছি যে তাই তোমাদের কষ্ট হবে ? চিরদিন আধপেট বকুনি খেয়ে মানুষ হচ্চি, আমি অবৰ্ত্তমানে ও তাই হবে, কিসের কষ্ট ? আমি থাকূলে তোমাকেও হয়ত একটা গঙ্গাযাত্রী ধবে বিয়ে দেব ! . আমি তোমাদের বাপ ? না ?” উত্তেজনার খেয়ে, থেটে,