পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నాN6 ভারতে অলিকসন্দর নাই, এরূপ ভাবে যাহারা শক্ৰত করে, তাহাদিগকে সমুলে ধ্বংস করিবার জন্য আমি অস্ত্ৰধারণ করিয়াছি । বিধাতা ন্যায়ের পক্ষপাতী। এসিয়ার বহু প্রদেশ আমার রাজ্যর অন্ততু ভক্ত হইয়াছে, এবং স্বয়ং তোমার উপরও জয়লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছি। যুদ্ধনীতি অনুসারে তুমি আমার সহিত ব্যবহার কর নাই, তজ্জন্য আমার নিকট তুমি সদয় ব্যবহার প্রত্যাশা করিতে পার না। তথাপিও যদি তুমি অনুগ্রহ প্রার্থী হইয়া আমার নিকট উপস্থিত হও, তাহা হইলে আমি স্বীকার করিতেছি যে, তোমার মাত৷ স্ত্রী ও সন্ততিগণকে বিনা অর্থে মুক্তি প্রদান করিব । কেমন করিয়া জয় করিতে হয়, এবং কিরূপেই বা পরাজিতের দুঃখ বিমোচন করিতে হয়, তাহ আমি অবগত আছি। আমার নিকটে আসিতে কি তুমি ভীত হও ? এখানে আসিলে তোমার গমনাগমনের কোনরূপ প্রতিবন্ধক উপস্থিত হইবে না। তোমার বিশ্বাসের জন্য প্রতিভূ প্রেরণ করিতে প্রস্তুত আছি। ভবিষ্যতে যখন পত্র লিখিবে তখন স্মরণ রাখিবে যে, একজন রাজাকে লিখিতেছে না, কিন্তু তোমার রাজাকে লিখিতেছ। থারসিপস কোনরূপ কথা বলিতে নিষিদ্ধ হইয়া এইপত্র লইয়া দারার নিকট গমন করিয়াছিল । যুদ্ধের পূৰ্ব্বে যে সকল এথিনিয়ন, স্পাটান ও থেববাসী দূত মেসিনদের বিপক্ষে দারার সাহায্য প্রাপ্তি বাসনায় আগমন করিয়াছিল, পামিণিও তাহাদিকে বন্দী করিয়া, অলিকসন্দর সমীপে প্রেরণ করেন। এই সকল সন্ত্রান্ত বংশীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি অলিকসন্দরের নিকট আনীত হইলে, তিনি স্পার্টান ব্যতীত থেব ও এথেন্সবাসীকে মুক্তি প্রদান করেন। প্রথমোক্তদের