ృషి\ల ভারতে অলিকসন্দর । বিপুল পরাক্রমের সহিত আক্রমণ করিলেন । ইহাতে সৈন্তগণ অধিকতর বিশৃঙ্খল হইয়া পড়িল । কুৰ্ত্তিয়স ও ডিওডোরস বলেন, দার খুব উৎসাহ ও ধৈৰ্য্যের সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন। এরিয়ান বলেন, “দার প্রথম হইতেই বিভীষিকাগ্রস্ত হইয়াছিলেন তিনিই সৰ্ব্বপ্রথমে রণে ভঙ্গদিয়া পলায়নে প্রবৃত্ত হন” । * অলিকসন্দর এ ভাগে বিজয় প্রাপ্ত হইলেন বটে, কিন্তু অন্ত ভাগের অবস্থা খুব সঙ্কটজনক হইয়াছিল। তাহার বাম ভাগ, শত্রুসৈন্যের দারুণ আক্রমণে কম্পিত হইয়া পড়িয়াছিল । বিজয় শ্ৰী দারার পক্ষ অবলম্বন করিবার উপক্রম করিয়াছিলেন । যুদ্ধনিপুণ পারমিণি ও বারংবার সাহায্যপ্রার্থী হইয়া অলিক সন্দরের কাছে লোক প্রেরণ করিল। অলিক সন্দর তাহাকে সাহায্য করিতে না পারিলেও বলিয়া পাঠাইলেন বিজয়শ্রী আমাকে আলিঙ্গন করিয়াছেন, দারা যুদ্ধস্থল পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিয়াছে, কিয়ৎক্ষণ যুদ্ধস্থলে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করিতে পারিলেই, কাৰ্য্যসিদ্ধি হইবে । অলিক সন্দরের অনুমান ঠিক হইল। দারার সৈন্তের বিজয় লাভের উপক্রমকালে, দারার পলায়ন বার্তা প্রচারিত হইল। যাহারা শত্রুসৈন্য বিত্ৰাসিত করিয়া যুদ্ধ করিতেছিল, তাহার। বিভীষিকাগ্রস্ত হইল ! যাহারা বেগে অগ্রসর হইয়া শক্রগণকে পশ্চাদপদ করিতেছিল, তাহারা পলায়নে প্রবৃত্ত হইল ! অলিকসন্দরের সৈন্য যখন বিভক্ত হইয়া পড়ে ; সেই সময় আমাদের ভারতীয় এবং পারসীক সৈন্য তাহদের মধ্যদেশ ভেদ করিয়া শক্রর পশ্চাদভাগে গমন করিয়া ঘোরতর যুদ্ধ কধিতে আরম্ভ করে।—তাহীদের প্রচণ্ড আক্রমণে মেসিদন
