পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮৬ ভারতে অলিকসন্দর থাকে। আর যাহার। তাহাকে প্রবলপরাক্রমে বাধা দিবার জন্য প্রতিপদে অকাতরে শোণিত পাত করিয়া থাকেন, এক শ্রেণীর স্বদেশবাসী, তাহাদিগের দুৰ্ব্বলতারবিষয় সেই অত্যাচারীর জ্ঞানগোচর করিয়া নিজের ক্লীবত্ব প্রকাশ করিয়া থাকে। অপর পক্ষে, পুরুষ প্রকৃতির দেব চরিত্রের দৃঢ়চেতাগণ, স্বেচ্ছাচারী শক্রর অত্যাচার হইতে দেশকে রক্ষা করিবার জন্য, সমস্ত কার্য্য পরিত্যাগ করিয়া, সৰ্ব্বতোভাবে তাহার বিরুদ্ধাচরণ করিয়| আত্মশক্তি অক্ষুণ্ণ রাখিবার চেষ্টা করিয়া থাকেন। অত্যাচারীর আচরণ যতই উগ্রতর হয়, তাহাদিগের বাধা দিবার দুর্দমনীয় শক্তি ততই বৃদ্ধি পাইয়া থাকে। র্তাহারা সৰ্ব্বোভাবে উৎপীড়িত হইলেও, আত্যাচারীর বিরুদ্ধে হস্তোত্তলন করিতে কোন ক্রমেই বিরত হন না । সকল সময় বাধাপ্রদান করিতে সমর্থ ন হইলে, সকলপ্রকারে তাহার সংস্রব পরিত্যাগ করিয়া দূরতর প্রদেশে অবস্থান করেন। এবং উপযুক্ত সুযোগ প্রাপ্ত হইলেই ভীম পরাক্রমে, শক্রর উপর আপতিত হইয়া তাহাকে সমুলে ধ্বংস করিতে চেষ্টা করিয়া থাকেন। আমাদের স্বদেশবাসীর অধিকাংশ স্থলে শেষের প্রকৃতি অবলম্বন করিয়াছিলেন । পটলের নিকটে, সিন্ধু দুইভাগে বিভক্ত হইয়া, সমুদ্রাভিমুখে প্রবাহিত হইয়াছে। অলিকসন্দর, সিন্ধুর গতি এবং কতদূরে সমুদ্রে মিলিত হইয়াছেন, ইহা স্বচক্ষে দেখিবার জষ্ঠ, দক্ষিণ প্রবাহ অবলম্বন করিয়া নৌকাযোগে গমন করেন সেনানী লিওনেট। কিছু সৈন্য লইয়া স্থলপথে এই নৌবাহিনীকে অনুগমন করিতে আদিষ্ট ইন । জলপথ না জানার জন্ত তাহাদিগকে বড়