পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b" ভারতে অলিকসন্দর । বলেন, অলিকসন্দর এসিয়া বিজয়ের জন্য দুইশত ট্যালেন্ট ঋণ গ্রহণ করিয়া এই অদ্ভূত কার্য্যে ব্ৰতী হইয়াছিলেন। অলিকসন্দর দুই এক মাসের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিতে সমর্থ হন এইরূপ অর্থ লইয়া জন্মভূমি হইতে বহুদূরে বিদেশে একজন প্রবলপরাক্রান্ত নবুপতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে যাত্রা করিলেন । অলিকসন্দরের জনবলও বড় বেশী ছিল না কেহ, বলেন ৩০ হাজার পদাতিক, ৪ হাজার ৫ শত অশ্বারোহী, অন্য কেহ বলেন ৩৪ হাজার পদাতিক, এবং ৫ হাজার অশ্বারোহী, এসিয়া বিজয়ের জন্য অলিকসন্দরের অনুগমন করিয়াছিল । কি ধনবল, কি জনবল, অলিক সন্দর সকল বিষয়ে নগন্য হইলেও তিনি হৃদয়ের বলে সৰ্ব্বাপেক্ষা বলীয়ান ছিলেন । পারস্যপতি, ধনবলে বা জনবলে সৰ্ব্বাপেক্ষ বলীয়ান হইলেও, তিনি হৃদয়ের বলে মাসিদনপতির কাছে পরাভূত হইয়াছিলেন। তাহা না হইলে তিনি একদিনে মুষ্টিমেয় ইয়ুরোপায়কে এক ফুৎকারে ধুলির ন্যায় উড়াইয়া দিতে পারিতেন । হৃদয়ের বল না থাকিলে মানুষ পশু অপেক্ষা অধম হইয় থাকে। অলিকসন্দর যাত্রা করিবার পূৰ্ব্বে, র্তাহার সহচরগণের মধ্যে কাহাকে এ গ্রামের, কাহাকেও গ্রামের রাজস্ব প্রদান করেন। এইরূপে রাজ্যের প্রায় সমস্ত স্থান প্রদত্ত হইলে, অলিকসন্দরের একজন সহচর সেনানী তাহাকে জিজ্ঞস করেন, সবইত আপনি দিয়া ফেলিলেন, নিজের জন্য কি রাখিলেন? প্রত্যুত্তরে, অলিক, সন্দর বলিলেন, “আশা”। বালকের এই কথা শুনিয়া বয়স্থ সৈনিক পুরুষের মস্তক লজ্জায় অবনত হইল। তাহার ভিতর দিয়া যেন এক অদ্ভুত শক্তি প্রবাহিত হইল—চৈতন্য প্রাপ্তির পর