পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল শিল্পীদের খেয়ালমাত্র নহে, ইহা দস্তুরমত বৈজ্ঞানিক প্রথায় ও পরিকল্পনায় গঠিত । হাভেল সাহেব “এনসিয়েণ্ট এণ্ড মিডিইভেল আকিটেকচার অব ইণ্ডিয়া” গ্রন্থের ২১ পৃষ্ঠায় fifter-“ "lhe pecular double curvature given to these Bengali roofs and drawing out of the eaves at the four corers of the cottage are not mere freaks of the practical oriental builder, but thorouglly scientific inventions designed for throwing of heavy rails. বাঙ্গলায় অতিরিক্ত মুষল ধারায় বারিপাতের অনিষ্ট হইতে মন্দির ও মসজিদগুলির চাদ অটুট রাখিবার জন্য প্ৰাচীন ইষ্টক ও প্রস্তরের মন্দির এবং মসজিদ গুলির পাকা ছাদও এই খড়ের ঘরের চালের অনুকরণে ও প্ৰথাতে নিৰ্ম্মিত হইত। বৰ্ত্তমান যুগের পাশ্চাত্ত্য পদ্ধতির অনুকরণে সমতল ছাদ, বাঙ্গল দেশের প্রচুর বৃষ্টিধারার বেগ সহ্য করিতে পারে না। সেইজন্যই সরকারী পূৰ্ত্তি বিভাগকে ( পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেণ্ট ) প্ৰতিবৎসর সরকারী হম্ম্যগুলির ফাটা ছাদ মেরামতের জন্য প্রচুর অর্থ ও শ্রম বায়ু করিতে হয়। পূৰ্ত্তবিভাগের ইঞ্জিনীয়ারগণ বাঙ্গলার চিরন্তন প্রথায় ছাদ-নিৰ্ম্মাণের পদ্ধতি উপেক্ষা করিয়া পাঙ্গলাদেশের আবহাওয়ার অনুপযোগী সমতল ছাদ প্ৰস্তুত করিয়া গৰ্ব্বব অনুভব করেন । কিন্তু হ্যাভেল সাহেব তাহদের উল্লেখ করিয়া লিখিয়াছেন—‘‘ The pro gressive European, rather than learn anything from the Hindu builder, endures patiently the leaky roofs which the British engineer puts over S&N