পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মথুরাপুর শ্ৰীযুক্ত গুরুসদয় দত্ত, আই. সি. এস. মহোদয় ১৯৩৩ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর তারিখে সংবাদপত্ৰে প্ৰকাশ করেন। দেউলটি বৰ্ত্তমানে জমি হইতে ৭০ ফুট উচ্চ দেখায়, বাঙ্গলার দেউলের মতন ভিত হইতে ক্রমশঃ অল্প অল্প থাকে থাকে সরু হইয়া ২৯ ফুট পৰ্য্যন্ত উঠিয়াছে। তারপর ইহার বঁাক ক্ৰমান্বয়ে সরু হইয়া শিরা পৰ্যন্ত গিয়াছে। ২৯ ফুট উচ্চে একটি বৃহৎ কানিস বেড় দিয়া রহিয়াছে। কানিসের উপর হইতে দেউলের চুড়া ঢালু হইয়া উঠিয়া গিয়াছে, তবে তাহার সেই স্থানের গাত্রে কোন কারুকাৰ্য্য নাই। মনে হয়। ইহার শিরোদেশ বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে। খিলানের উপরিভাগে একটি বড় গৰ্ত্ত হইয়া গিয়াছে, তাহার মধ্য দিয়া দেউলের অভ্যন্তরে আলোক প্ৰবেশ করিতেছে । ইহার শিরে কোন “আমলক’ বা কলস স্থাপিত হইয়াছিল কি না তাহার সন্ধান পাওয়া যায় না । বড় বড় গাছ জন্মিয়া দেউলের উপরিভাগের বহু স্থান ধ্বংস করিয়াছে। নিম্নভাগেরও পাঁচ ফুট পৰ্য্যন্ত টেরাকোটার কারুকাৰ্য্যগুলি ‘নোনা ধরিয়া বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। মন্দিরটি দ্বাদশ-পালযুক্ত, প্ৰত্যেকটি পল পঞ্চারথের পরিকল্পনার । দেউলের শিরস্থান হইতে ভিত পৰ্য্যন্ত বারকোণ খাড়াভাবে উঠিয়াছে, প্ৰত্যেকটি পল “পঞ্চ পগে” (শিরায় ) বিভক্ত হইয়াছে। ইহাই এই মন্দিরের নিজস্ব বিশিষ্ট গঠনপদ্ধতি। ইহার তুলনা আর নাই। দেউলের গাত্রের টেরাকোটার মূৰ্ত্তি ও চিত্রাবলী উৎকৃষ্ট ভাবব্যঞ্জক ও শিল্প-জগতের সূক্ষম কারুকাৰ্য্যের নিদর্শন। বাঙ্গলা দেশে পাহাড়ের প্রাচুৰ্য্য না থাকায় গৃহ-নিৰ্ম্মাণে প্ৰস্তর ব্যবহৃত হইত না । সেইজন্য বাঙ্গলার শিল্পীরা পাথরের উপর SRS) 1-80B.