পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्रभ८ প্ৰতিবিম্ব হ্রদের স্বচ্ছ নীরে পতিত হইয়া অপূর্ব শোভার সৃষ্টি করিয়া থাকে। সরোবরের শোভা যেমন মনোলোভা ইহার জল তেমনি উপকারী । কিংবদন্তী আছে অম্বা সিং নামে এক রাজপুত রাজপুত্র শিকারে আসিয়া পথভ্ৰান্ত ও ক্লান্ত হইয়া পড়েন, এই স্থানে উপস্থিত হইয়া একটি ঝরণা দেখিয়া জল পান ও সুন্নান করেন। তাহার সর্বাঙ্গে কুষ্ঠব্যাধির চিহ্ন ছিল, কিন্তু ঝরণার জলে সুন্নান করিবামাত্রই তাহার ব্যাধির সর্বলক্ষণ দূর হইয়া গেল। তিনি প্ৰাকৃতিক রহস্য-লীলার সৃষ্টিকৰ্ত্তার নিকট কৃতজ্ঞতা প্ৰদৰ্শন করিয়া সেই ঝরণার জল সঞ্চয় করিবার জন্য এই সুদৃশ্য সরোবরটি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন, তারপর এক স্বাধীন মহারাষ্ট্র নরপতি অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে হ্রদটির সংস্কার করিয়াছিলেন । প্ৰতি বৎসর মেলার সময়ে সহস্ৰ সহস্ৰ নরনারী এই স্থানে সমবেত হন এবং এই সরোবরে স্নান করিয়া উপকৃত হন। মধ্যভারতের বিখ্যাত নাগপুর নগরের ২৬ মাইল উত্তরে রামটেক গিরি অবস্থিত। নাগপুরের সন্নিকট কাম্পটি ছাউনীর পার্শ্ব দিয়া কাহ্নান নদী প্ৰবাহিত, তাহার উপর দিয়া রেল লাইনের এক শাখা ছাবিবশ মাইল গিয়াছে, এই রেল পথের রামটেক ষ্টেশনে অবতীর্ণ হইয়া “রেণীতে’ ( দরমার ছাউনিযুক্ত যুগল অশ্বদ্বারা চালিত গো-শকটের মতন যান ) দুই মাইল গমন করিলে, রামটেক পল্লীতে উপনীত হওয়া যায়। এই স্থানে যাত্ৰিনিবাস ও আহারাদির স্থান আছে। সেখান হইতে পর্বতে উঠিবার Nà Gł d