পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনারক দুইটি নারীমূৰ্ত্তি, একটির হস্তে অন্নপাত্ৰ আছে। তাহ দেখিয়া পণ্ডিত বিষাণস্বরূপ বলেন—ইহা বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তি, যখন তপঃক্লিষ্ট বুদ্ধদেব অত্যন্ত কাতর, তখন শ্রেষ্ঠিপত্নী সুজাতা তাহার দাসী পুন্নাকে সঙ্গে করিয়া। ‘পরমান্ন’ পাত্রে লইয়া বুদ্ধের সমীপে উপস্থিত হন ; আর তখন সপরিাজ মুচলিন্দ ফণা বিস্তার করিয়া ঝড়-বৃষ্টি-রৌদ্র-তাপ হইতে বুদ্ধকে রক্ষা করিতেছে। কিন্তু স্বগীয় রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিয়া গিয়াছেন যে, কোনারকে কোন বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তি বা বৌদ্ধ-ধৰ্ম্ম-সম্বন্ধীয় স্থাপত্যের কোন নিদর্শন পাওয়া যায় না । সংগ্ৰহালয়ে নবগ্রহমূৰ্ত্তি-ক্ষোদিত অপূর্ব সর্দালের প্রকাণ্ড প্ৰস্তরটি রক্ষিত আছে। পাথরটির আয়তন ১৯ × ৪২ × ৩ এবং ওজন ২৪ টন ৩ কোয়াটার ২১ পাউণ্ড । এখানকার বিখ্যাত অরুণাস্তম্ভটি এক মহারাষ্ট্র নরপতি পুরীর জগন্নাথের দেউলের প্রধান তোরণের সম্মুখে স্থাপিত করিয়াছিলেন। জগন্নাথের মন্দিরেও কোনারকের একটি সূৰ্য্যমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত আছে । প্ৰচলিত প্ৰবাদ মন্দিরের চূড়ায় একখণ্ড বৃহৎ চুম্বক পাথর বসান ছিল । এই চুম্বক সমুদ্রগামী অর্ণবপোতের লৌহ অংশ আকর্ষণ করিয়া জলযানগুলিকে বিপদে ফেলিত । এই চুম্বক পাথরকে উড়িষ্যাবাসীরা ‘কুম্ভ-পাথর’ বলে। কারণ পূর্বেল এইরূপ পাথর মন্দিরের কলসীরূপে ব্যবহৃত হইত। পূৰ্ত্তবিদ বিষাণস্বরূপ বলেন—উড়িয়া শিল্পীরা মন্দিরের মাথায় চুম্বক বসাইয়া শিখরের প্রস্তরগুলি যথাস্থানে আকর্ষণ করিয়া রাখিত । মাদল পঞ্জী মতে এই চুম্বকটি ১২৷০ কাঠি অর্থাৎ ২১ ফুট ১০২ ইঞ্চি ( এক কাঠির মাপ ১ ৯” ইঞ্চি ) YS)