পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भाळूद्ध হইয়া স্তরে স্তরে বিশ তলায় বিভক্ত হইয়া ১৫২ ফুট উচ্চে উঠিয়াছে। গোপুরমের প্রবেশ-পথের মধ্যের ফোকর চল্লিশ ফুট উচ্চ এবং পনির ফুট প্রস্থ। ভূমি হইতে ৭০ ফুট উঁচু পৰ্য্যন্ত ধূসর প্রস্তরে (গ্রেনাইট পাথরে) নিৰ্ম্মিত। তাহার উপরিভাগ ইষ্টক ও প্রস্তরে প্রস্তুত এবং দৃঢ় পলস্তারা দ্বারা আচ্ছাদিত । সমগ্ৰ গাত্ৰে প্ৰস্তর ও পালস্তারার উপর ছোটবড় এমন কি পূৰ্ণ মানুষের আয়তনের দেব, দেবী, যক্ষ, রক্ষ ও দানবের মূৰ্ত্তি এবং লীলাব্যঞ্জক দৃশ্যাবলী, পরিষ্কার ও সুস্পষ্টরূপে ক্ষোদিত রহিয়াছে। ইহা ভুবনেশ্বর ও খাজুরাহোর ভাস্কর্য্যের মতন সূক্ষা ও মনোরম না হইলেও প্রাণবন্ত । তোরণের শীর্ষ হইতে দ্বারের ফোকর পর্য্যন্ত পিতলের ঘণ্টার মালা বিলম্বিত। দীপমালা সাজাইবার সুব্যবস্থা আছে। দূর হইতে চারিটি গোপুরম এক একটি পর্বতশিখর বলিয়া ভ্ৰম হয়। ইহার শীর্ষস্থান প্ৰায় ত্ৰিশ ফুট বিস্তৃত এবং উপরে দ্বাদশটি অষ্টধাতুর কলস স্থাপিত। সমগ্র দেবালয়টি উত্তর-দক্ষিণে ৮৩৪ ও ৮৫২ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৭২০ ও ৭২৯ ফুট। এমন সুশ্ৰী বিশালায়তনের মন্দির ভারতে ত নাইই, এমন কি, জগতেও দেখা যায় না। পাশ্চাত্ত্য দেশে অনেক সৌধের স্থাপত্য-কৌশল সুদৃশ্য ও মহান ; কিন্তু তাহা দক্ষিণভারতের মাদুর, শ্ৰীরঙ্গম, তাঞ্জোর, কুস্তকোণম ও রামেশ্বরের মন্দিরের ন্যায় এত সুন্দর কারুকাৰ্য্যমণ্ডিত এবং বিশাল ok পূর্ব-গোপুরমটি অতিক্রম করিলে প্রথমেই সিদ্ধিদাতা গণেশের বিশাল বপুর দশন পাওয়া যায়। শিল্পী কত SS 28-304 B.