পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল নিৰ্ম্মিত মন্দিরের প্রকৃষ্ট উদাহরণ খাজুরাহোতে পাওয়া যায়। বৈষ্ণবেরা যেমন ললাটে সরল রেখা টানিয়া তিলক ধারণ করে, তেমন রামচন্দ্ৰ-মন্দিরের চুড়া সরল রেখার মত একটির পর একটি উঠিয়াছে। সমস্তটা যেন সুমেরু পর্বতের অনুকরণে নিৰ্ম্মিত । শিখরগুলির বাহিরে। যেমন কারুকাৰ্য্য ভিতরের কাৰ্য্যেও তেমনই শিল্পীর দক্ষতা প্ৰকাশ পাইয়াছে। শিখরগুলি যেমন দক্ষতার সহিত কৰ্ত্তিত ও ক্ষোদিত হইয়াছে তেমনই আশ্চৰ্য্যভাবে বিনা মসলায় বসান রহিয়াছে। শিখরগুলি সম্পূর্ণ হইলে তাহার উপর খিলানের চাবির ন্যায় আমলকী-ফল-সদৃশ শিরাযুক্ত একটি প্ৰস্তর স্থাপিত হয়। ইহা শিখরগুলিকে একত্ৰ করিয়া রাখিবার শক্তি ধরে এবং মন্দিরের কলস-স্বরূপ দেখায় । চতুভূজ মন্দিরটি অতি উচ্চ, প্ৰায় দ্বাদশ ফুট উচ্চ পোস্তার উপর বিস্তৃত চত্বরের মধ্যে নিৰ্ম্মিত । ইহার চারিকোণে চারিটি ছোট ছোট মন্দির নিৰ্ম্মিত রহিয়াছে। শিল্পী এক ঢিলে দুই পাখী। মারিয়াছে, বিষ্ণুর পঞ্চরত্ন-কণ্ঠহারের (ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, বোম বা চুনী, পান্না, নীলা, হীরা, মুক্তা ) ন্যায় পঞ্চচূড়ার মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে। খাজুরাহাের সৌভাগ্যরবি যখন প্রখর ছিল তখন তাহার নগরী-তোরণের উভয়পার্শ্বে দুইটি সুবর্ণ-খাৰ্জর বৃক্ষ শোভা পাইত । বাংলাদেশে যেমন প্ৰত্যেক শুভকাৰ্য্যে মাঙ্গলিকচিহ্নস্বরূপ কলাগাছ রোপিত হয়, তেমনই খাজুৱাহােতে উর্বর জমির নিদর্শন খেজুর-গাছ প্রত্যেক মাঙ্গলিক কাৰ্য্যে গৃহদ্বারে প্রোথিত হইত। দশম শতাব্দীর চারণ চাঁদ-কবি খাজুরাহের চারি পার্থের পল্লীতে খেজুরগাছের প্রাচুৰ্য্য দেখিয়া এই মহানগরীর 8ፖ"