সংস্কারান্ধ হইয়া অনেকে যেমন সিদ্ধান্ত করিয়া বসেন— যে কালস্রোতে নূতন যাহা কিছু আমাদের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইতেছে অথবা ইউরোপ যাহা কিছু সর্ব্বপ্রথম আবিষ্কার করিয়াছে বা সামর্থ্যের সহিত ব্যক্ত করিয়াছে, তৎসমস্তই দূর করিয়া ফেলিয়া দিতে হইবে। এ রকম মনের ভাব যুক্তির দিক দিয়া যেমন মূঢ়তার পরিচয়, কাজের দিক দিয়া তেমনি অসম্ভব— শুধু তাই নয়, ইহা আধ্যাত্মিকতার অভাব। কারণ, সত্যকার আধ্যাত্মিকতা কোন নূতন জ্ঞানকেই পরিহার করে না, মানবজাতির আত্মোন্নতির উপায় বা উপকরণ যদি আরও কিছু জুটিয়া যায় তবে তাহা ফেলিয়া দেয় না। আমাদের অন্তরাত্মাকে, আমাদের সত্তার বিশিষ্ট ধরণকে, আমাদের সহজাত স্বভাবকে অক্ষুণ্ণ রাখিতে হইবে এবং তাহার সহিত মিলাইয়া মিশাইয়া ধরিতে হইবে আমরা যাহা কিছু বাহির হইতে আহরণ করিব আর তাহার ভিতর হইতেই বিকসিত করিয়া ধরিতে হইবে আমরা যাহা কিছু কর্ম্ম করিব, যাহা কিছু সৃষ্টি করিব। ইহাই হইল আমাদের সূত্রটির অর্থ। অধ্যাত্মধর্ম্মই বিশেষভাবে ভারতের মনোযোগ চিরকাল আকর্ষণ করিয়া আসিয়াছে—ইহাই হইল ভারতের অন্তর-
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
১০৪