পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

আধ্যাত্মিকতা বলিতে বুঝি আমাদের যে সর্ব্বোত্তম আত্মসত্তা, যে ভাগবত সর্ব্বব্যাপী একত্ব তাহাকে জানা, তাহাতে বসবাস করা, জীবনের প্রত্যেক অঙ্গকে তাহার দিব্যরূপে তুলিয়া ধরা। এই ধর্ম্মের প্রাচুর্য্য্য ত ছিলই না, বরং ছিল যথেষ্ট অপ্রতুল; আর যতটুকুও বা খুঁজিয়া পাওয়া যাইত তাহা ছিল গণ্ডীবদ্ধ, সঙ্কীর্ণ। ভারতের এই সনাতন আদর্শকে খাট করিয়া ধরিলে রোগের প্রতিকার হইবে না, তাহা সুপ্রাচীনকালে ছিল যেমন তেমনি উদার করিয়া ধরিতে হইবে, আরও বৃহত্তর করিয়া ছড়াইয়া দিতে হইবে, যেন জাতির সমগ্র জীবন সত্য সত্যই এই আধ্যাত্মিক অর্থে মূর্ত্ত ধর্ম্ম হইয়া দাঁড়ায়। এই দিকেই দেখি আস্তে আস্তে ইউরোপের কাব্য, দর্শন, শিল্পকলা হাতড়াইয়া চলিয়াছে, অন্ধকারে অন্ধকারে চলিলেও তাহার পথে ক্রমশঃই আলো ফুটিয়া উঠিতেছে, তাহার রাষ্ট্রনীতিক সামাজিক আদর্শাদির মধ্যেও নূতন একটা সত্যের প্রভা যেন বিচ্ছুরিত হইতেছে। কিন্তু এই সত্যের পূর্ণ জ্ঞান, এই আদর্শের সজ্ঞান প্রয়োগকৌশল একমাত্র আছে ভারতের ভাণ্ডারে। তাই ত যে সব তথ্যের ব্যবহার এক সময়ে ভারত করিতে পারে নাই, তাহা

১০৭