পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

না যে, আমরা সে সকলের পূর্ণ অর্থ সম্যক্ উপলব্ধি করিতে পারিয়াছি বা বাস্তব জীবনে তাহাদের কিছু প্রয়োগ করিয়াছি,—ব্যবহারিক জগতে আমাদের চিন্তার মনোভাবের উপর তাহাদের বাস্তবিক ফল কিছু হইয়াছে। মোটের উপর দেখিতে পাইতেছি, আমরা যেন সত্যের বৃহৎ হইতে বৃহত্তর ক্রমবিকাশের পথে চলিয়াছি, প্রাচীন ভাবের চিস্তার নূতনতর উপলদ্ধি অনুভূতির ভিতর দিয়া নব রূপসৃষ্টির দিকে অগ্রসর হইতেছি। শেষ পরিণতি যাহাই হউক না, নবীন ভারতের যে বিশেষত্বটুকু সকল জিনিষের উপরে আজ ফুটিয়া উঠিয়াছে, তাহা হইতেছে এই আধ্যাত্মিকতার এই ধর্ম্মভাবের আলোড়ন বিলোড়ন। এই ক্ষেত্রেই স্পষ্ট দেখা দিয়াছে একটা সৃষ্টির, নূতন গঠনের সামর্থ্য; কিন্তু অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে, অন্ততঃ সে দিন পর্য্যন্ত, ভারত দেখাইয়া আসিয়াছে বেশীর ভাগ ভাঙ্গিবার বা সমালোচনা করিবার প্রেরণা। আর একটি বিশেষত্ব সকল প্রয়াসের মধ্যে আস্তে আস্তে জাগিয়া উঠিতেছে, সেটি হইতেছে অধ্যাত্মকে জীবনের উপর ফলাইয়া ধরা। আজ দেশের নূতন প্রাণ চাহিতেছে যে, অধ্যাত্মজীবন যেন তাহার ব্যবহারের জীবনেরই প্রতিষ্ঠা হইয়া

৬৮