পাইয়াছে এই অবিশ্বাসের অনাস্থার ধারা। কিন্তু তবুও বলিব এই হেতুবাদের মধ্যে রহিয়া গিয়াছে একটা ফাঁক —ইহার দ্বারা যাহা প্রমাণিত করিবার চেষ্টা হয়, তাহা প্রমাণিত হয় না। আমাদিগকে সময়ে সময়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, সাহিত্যে, শিল্পে বা রাজনীতি ও সামাজিক জীবনে আধ্যাত্মিকতা বলিতে আমরা কি ছাই বুঝি—যদিও ভারতের সমস্ত অতীতের শিক্ষাদীক্ষার কথা মনে করিলে ভারতবাসীরই মুখে আজ আবার এ রকম প্রশ্ন শুনিয়া কিছু স্তম্ভিতই হইতে হয়। আমাদিগকে আরও জিজ্ঞাসা করা হয় কাব্যে বা কলায় একটু আধ্যাত্মিকতার জল ছিটাইয়া দিলে তাহাদের এমন কি গৌরব বাড়িয়া যায়? এই হাওয়ার জিনিষটিকে দিয়া সমাজের বা রাষ্ট্রের যে সমস্ত স্থূল সমস্যা সেগুলির কোন্ সুরাহা হইবে? বাস্তবিক পক্ষে এই যে সব আপত্তি, তাহা ইউরোপের একটা ধারণার প্রতিধ্বনি মাত্র। ইউরোপে অনেক দিন ধরিয়া একটা সংস্কারের মত হইয়া গিয়াছে যে ধর্ম্ম, আধ্যাত্মিকতা হইতেছে এক দিকে, আর এক দিকে বুদ্ধিগত জ্ঞান, বাস্তব জীবন—এই দুইটি ধারা সম্পূর্ণ বিভিন্ন রকমের, তাহাদের প্রত্যেককে অনুসরণ করিতে হইবে আলাদা আলাদা
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৮৭