পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

বিধান অনুসারে। কিন্তু আধ্যাত্মিক অর্থে নীতি হইতেছে কর্ম্মের মধ্যে, কর্ম্ম অপেক্ষাও বিশেষভাবে স্বভাবের মধ্যে আমাদের অন্তরস্থ দিব্য পুরুষকে ফুটাইয়া তুলিবার একটা উপায়, ভাগবত প্রকৃতির মধ্যে উঠিয়া চলিবার পথে একটা সোপান।

 আমাদের অন্যান্য লক্ষ্য, অন্যান্য কর্ম্মৈষণা সম্বন্ধেও ঐ একই কথা। আধ্যাত্মিকতা সে সকল গুলিকেই বরণ করিয়া লইতেছে, কিন্তু প্রত্যেকেরই দিতেছে একটা বৃহত্তর, গভীরতর, নিবিড়তর দিব্যভাবের অর্থ। পাশ্চাত্যের ধরণ দিয়া বিচার করিতে গেলে, দর্শন হইতেছে শুদ্ধ যুক্তির সহায়ে সৃষ্টির মূলতত্ত্ব সম্বন্ধে আলোচনা বা গবেষণা। এই সব মূলতত্ত্ব আমরা বাহির করিতে পারি, এক, জড়বিজ্ঞান আমাদের দুয়ারে আনিয়া দিতেছে যে সব বাস্তব সত্য, তাহা পর্যবেক্ষণ করিয়া, আর না হয়, যুক্তির যে সব মূল বৃত্তি, মস্তিষ্কের যে সব ধারণা, তাহাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করিয়া, অথবা যুগপৎ এই দুই পন্থার আশ্রয় লইয়া। কিন্তু আধ্যাত্মিক দিক্ দিয়া ধরিতে গেলে, আমরা দেখি যে সৃষ্টির সত্য কেবল যুক্তির সহায়ে কি বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের সহায়ে পাওয়া

৯৬