পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্রবিকাশের ধারা
৬১

যোগ দিবে, এই যে প্রাচীন নীতি, মধ্যবর্ত্তী সময়ের সাধারণতান্ত্রিক রিপাব্‌লিকগুলিতেও এই নীতিটি অক্ষুণ্ণ রাখিবার চেষ্টা করা হইত বলিয়া মনে হয়। সেগুলি প্রাচীন গ্রীস্‌দেশীয় সাধারণতন্ত্রের ন্যায় ছিল না। গ্রীক্ সাধারণতন্ত্রগুলি ছিল মুখ্যতন্ত্র রিপাবলিক (Oligarchical republics); সাধারণ সমিতিতে সকলে যোগদান করিতে পারিত না, সকল শ্রেণীর মুখ্য ও মান্য ব্যক্তিগণকে লইয়া গঠিত ক্ষুদ্র সিনেটই (Senate) দেশশাসন করিত; ভারতে পরবর্ত্তী কালের রাজকীয় পরিষদ ও পৌরসমিতিগুলি এইরূপই ছিল। যাহাই হউক, শেষ পর্য্যন্ত যে রাষ্ট্ররূপের বিকাশ হইয়াছিল, তাহা ছিল মিশ্রধরণের, তাহাতে কোন কোন শ্রেণীকেই অযথা প্রাধান্য দেওয়া হইত না। এই জন্যই প্রাচীন গ্রীস ও রোম বা পরবর্ত্তী য়ুরোপের ন্যায় শ্রেণীর সহিত শ্রেণীর দ্বন্দ্ব ভারতের ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায় না। প্রাচীন গ্রীস ও রোমে সম্ভ্রান্ত শ্রেণীর সহিত সাধারণের, মুখ্যতন্ত্র আদর্শের সহিত সাধারণতন্ত্র আদর্শের দ্বন্দ্বের ফলে শেষ পর্য্যন্ত একাধিপত্যশালী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়। পরবর্ত্তী য়ুরোপের ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায়, শ্রেণীদ্বন্দ্বের ফলে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন রকমের শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছে। প্রথমে অভিজাতশ্রেণী আধিপত্য করিয়াছে; পরে কোথাও ধীরে