পাতা:ভারতের সংবিধান.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৩৬
ভারতের সংবিধান
২৩৬

________________

ভারতের সংবিধান ষষ্ঠ তফসিল । 1 [ পরন্তু, এই উপ-প্যারাগ্রাফ অনুযায়ী রাজ্যপাল কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশে (২০ প্যারাগ্রাফের এবং উক্ত সারণীর যেকোন ভাগে যেকোন দফার সংশোধন, সমেত) এরুপ আনুষঙ্গিক ও পারিণমিক বিধানাবলী থাকিতে পারে যাহা রাজ্যপালের নিকট ঐ আদেশের বিধানাবলী কার্যে পরিণত করিবার জন্য প্রয়ােজন বলিয়া প্রতীয়মান হয়।]

২। জেলা পরিষদলমছ ও আঞ্চলিক পরিষদসমূহের গঠন।–[(১) প্রত্যেক স্বশাসিত জেলার জন্য অনধিক ত্রিশ জন সদস্য লইয়া গঠিত একটি জেলা পরিষদ থাকিবে, যাঁহাদের মধ্যে অনধিক চার ব্যক্তি রাজ্যপাল কর্তৃক মনােনীত হইবেন এবং অবশিষ্ট সদস্যগণ প্রাপ্তবয়স্কদের ভােটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত হইবেন।] (২) এই তফসিলের ১ প্যারাগ্রাফের (২) উপ-প্যারাগ্রাফ অনুযায়ী স্বশাসিত তাঞ্চলরপে গঠিত প্রত্যেক ক্ষেত্রের জন্য একটি পথক আঞ্চলিক পরিষদ থাকিবে। | (৩) প্রত্যেক জেলা পরিষদ ও প্রত্যেক আঞ্চলিক পরিষদ যথাক্ৰমে “(জেলার নাম) জেলা পরিষদ” ও “(অঞ্চলের নাম) আঞ্চলিক পরিষদ” নামে একটি নিগমবদ্ধ সংস্থা হইবে, উহার নিরবচ্ছিন্ন উত্তরানব্রুম ও একটি সাধারণ শীলমােহর থাকিবে এবং উক্ত নামে উহার দ্বারা বা উহার বিরুদ্ধে মামলা করিতে হইবে। (৪) এই তফসিলের বিধানাবলী সাপেক্ষে কোন স্বশাসিত জেলার প্রশাসন, যতদুর পর্যন্ত উহা এই তফসিল অনুযায়ী ঐরপ জেলার অভ্যন্তরস্থ কোন আঞ্চলিক পরিষদে বর্তিত নহে ততদূর পর্যন্ত, ঐরুপ জেলার জেলা পরিষদে বতিত হইবে এবং কোন স্বশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন ঐরপ অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিষদে বর্তিত হইবে।' (৫) আঞ্চলিক পরিষদবিশিষ্ট স্বশাসিত জেলায়; আঞ্চলিক পরিষদের প্রাধিকারাধীন ক্ষেত্রসমূহ সম্পর্কে জেলা পরিষদকে এই তফসিল দ্বারা যে ক্ষমতাসমূহ প্রদত্ত হইয়াছে তদতিরিক্ত ঐ ক্ষেত্রসমূহ সম্পর্কে যেরুপ ক্ষমতাসমুহ আঞ্চলিক পরিষদ কর্তৃক জেলা পরিষদকে প্রত্যভিযােজন করা যাইতে পারে, কেবলমাত্র সেই ক্ষমতাসমূহ উহার থাকিবে। . (৬) রাজ্যপাল, সংশ্লিষ্ট স্বশাসিত জেলার বা অঞ্চলের অভ্যন্তরস্থ বিদ্যমান জনজাতি পরিষদ বা অপর প্রতিনিধিমুলক জনজাতি-সংগঠনসমূহের সহিত পরামর্শক্রমে, জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদসমূহের প্রথম গঠনকার্যের জন্য নিয়মাবলী প্রণয়ন করিবেন, এবং ঐরপ নিয়মাবলী (ক) জেলা পরিষদসমূহ ও আঞ্চলিক পরিষদসমূহের গঠন এবং উহাতে আসন বিভাজনের (খ) ঐ পরিষদসমূহে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে স্থানিক নির্বাচনক্ষেত্রসমূহের পরিসীমনের জন্য ; . (গ) ঐরপ নির্বাচনসমূহে ভােট দিবার যােগ্যতা এবং ঐরপ নির্বাচনার্থে নির্বাচক তালিকা .. প্রস্তুতকরণের জন্য; । উত্তর-পূর্ব ক্ষেত্ৰসমূহ (পনঃসংগঠন) আইন, ১৯৭১ (১৯৭১-এর ৮১), ৭১ (i) ধারা ও অষ্টম তফসিল দ্বারা (২১.১.১৯৭২ হইতে) সন্নিবেশিত।

অসম পুনঃসংগঠন (মেঘালয়) আইন, ১৯৬৯ (১৯৬৯-এর ৫৫), ৭৪ ধারা ও চতুর্থ তফসিল দ্বারা, (২)। উপ-প্যারাগ্রাফের স্থলে (২.৪,১৯৭০ হইতে) প্রতিস্থাপিত।