পাতা:ভারতের সুখ শশী যবন কবলে.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সুখ শশী যবন-কবলে। [ চতুর্থ לכיל ভগ্নৈক হস্ত সৈনিকের প্রবেশ । ভগ্ন। রাজপুত্ৰি ! সূৰ্য্যকে গ্রাস করবার জন্য রাহু কি অমাবস্তার আশ্রয় লয় না ?—এ আর সেই ক্ষুদ্রচেতা দস্থ্য নয়, যে অর্থে বশীভুত করবে। এখনি পৃথুর শর র কবন্ধ করে হয় তোমায় আত্মসাৎ, নয় যবমসাৎ করবে। তুমি মনেও এট ভেবোন যে পুষ্পকেতু যবন সাহায্যে বৈর মোচন করলে। জিজ্ঞাসা করে দেখে যবনরাজ আমার সাহায্যে ভারতরাজ্য অধিকার করেছে কি না ? গতরাত্রে যা কিছু ঘটেছে সকলই আমার কৌশলে, যবনের ত চলেই গিয়েছিল, আমি ফিরায়ে এনে সৈনিক বেশে হস্তিনায় প্রবেশ করি । পৃথু। কি ! তুই ! তুই ! এ তখন তোকে চিনেও চিনতে পারি নাই । তান। অরে দুর্জাত! ক্ষত্রিয়াধম! বলন হস্তিনাপতি তোর কি অপকার করেছেন ? অামি কি তোর প্রতি অনুরক্ত ছিলেম,আর উনি বলে আমায় অপহরণ করে এনেছেন, সেই জন্য তোর ক্রোধ জন্মেছে ? না আমি পূর্বে তোর প্রতি বদ্ধ ভাব ছিলাম, পরে ওঁকে দেখে তোরে ঘৃণা করেছি ? বলুনা কি দোষে তুই এই জঘন্যকার্য্যে প্রবৃত্ত হয়েছিস্ ? না হয় ছস্তিনাপতিই তোর অপকার করেছেন, সনাতন ধৰ্ম্ম ত তোর অপকার করেন নাই, তুই কি বলে ধৰ্ম্মকে বলি দিতে উদ্যত হয়েছিল ? না ছয় আমিই যেন তোর মনে কষ্ট দিয়েছি, এই জন্মভূমি