পাতা:ভারতের সুখ শশী যবন কবলে.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ) Ա) ভারতের সুখ শশী যবন-কবলে । [ চতুর্থ অন লোহা পুড়িয়ে সৰ্ব্বাঙ্গে ছেক দাও ( সকলে পৃথুর অঙ্গৰস্ত্র উন্মোচনে প্রবৃত্ত । ) ছায় ! ইহাই দেখতে এখনও আছি ? যবনরাজ ! এই কি তোমার উচিত ? তোমাতে কি মনুষ্য ধৰ্ম্ম কিছুমাত্র নাই ? ওরে দুরত্ত ! ক্ষান্ত ছ! ক্ষান্ত হ ! ( সসভ্রমে গবাক্ষ দিয়া বহির্গমনের উদ্যম।) হয় নাথ ! এই রাক্ষসীই তোমার যত বিপত্তির মুল (সহসা ভূতলে পতন ) হায়! আমার মত হতভাগিনী পাপকারিণী এ জগতে অণর কে আছে ? তমালিকে ! তার তোমাকে আমার মুখ দেখাতে লজ্জা নাই ; তুমি আমা অপেক্ষা সহস্ৰগুণে ভাগ্যবতী। তুমি স্বামীর মৃত্যু স্বচক্ষে দেখ নাই, আমি হতভাগিনী দেখলাম। (বস্ত্রাভ্যন্তর হইতে ছুরি বছিস্করণ । ) ছোরা ! তুমিই এ বিপদে আমার সহায় ! দুরাত্মা চারিদিক্‌ বন্ধ করেছে, কিন্তু তোমার কিছুই করতে পারে নাই ; তুমি যবনের কোষে ছিলে বটে, কিন্তু তুমি এক্ষণে আমার পরম বন্ধু ! হায় তোমাকে যখন পাই তখনই যদি কণ্ঠের আভরণ করি, তা হলে আর নাথের এ বিপত্তি দেখতে হতে না, তা হয় নাই, নাথের কষ্ট দেখা এ রাক্ষসীর ললাট লিখন, এখন অমাৰি অশরণা, তোমার শরণাগত ছলেম । পুষ্প । রাজপুজি ! এই তোমার সেই সকল দুঃখের নিদান পৃথকে ঘোর নরকে প্রেরণ করি। ( অস্ত্র গ্রছণ । )