পাতা:ভারতে ইংরেজ শাসন - সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उ८ऊं शे३ ** SV উপর আমাদানী শুল্ক স্থাপিত হয় । এদেশ হইতে ইংলণ্ডে যে সমস্ত চা, কাফি ও চাউল রপ্তানী হয়, তাহার উপরেও শুস্ক আদায় করিবার নিয়ম আছে। ১৮৯৬ খষ্টাব্দে কার্পাসজাত সূত্ৰকে শুল্ক বিমুক্ত করা হয় । কিন্তু, বিদেশ হইতে যে সমস্ত কাপ সিজাত দ্রব্য আমদানী হইত। তাতোদিগের উপর শতকরা সাড়ে তিন টাকা এবং ভারতবর্ষের কলে যে সমস্ত বস্ত্ৰাদি প্ৰস্তুত হইত, তাহার উপরেও ঐহারে শুল্ক আদায়ের নিয়ম হয়। ১৯১৭ খষ্টাব্দে সাধারণভাবে এই শুল্ক বৃদ্ধিত হইয়া শতকরা পাচ টাকা হইতে সাড়ে সাত টাকা পৰ্য্যন্ত হয়। ১৯২০ খষ্টাব্দে সেই শুষ্ক শতকরা সাড়ে সাত টাকা হইতে এগার টাকা পৰ্য্যন্ত বদ্ধিত করা হইয়াছে। ভারত গবর্ণমেণ্টের আর্থিক অনটনের জন্য সম্প্রতি মোটর, গাড়ী, সাইকেল, রেশমী বস্ত্ৰাদি, চিনি, কেরোসিন, তামাক প্রভৃতি কতকগুলি জিনিষের উপর নূতন করিয়া আমদানী শুল্ক ও চাউল, পাট ও চায়ের উপর রপ্তানী শুল্ক বসান হইয়াছে। ফলতঃ এই দেশের প্রজাবৃন্দের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়াই ব্রিটিশ গবৰ্ণমেণ্ট চিরদিন, আমদানী ও রপ্তানী জিনিষের উপর শুল্ক স্থাপনের ব্যবস্থা, করিয়াছেন ও করিতেছেন।