পাতা:ভারতে ইংরেজ শাসন - সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8やり ভারতে ইংরাজ শাসন kap অধিকারের দাবীতে কল্পিত ধৰ্ম্মের ভান করিয়া প্ৰকাশ্যভাবে এই প্ৰকার বীভৎস কাণ্ড সংঘটন করিতে পারে না । তবে কোন দুবৃত্তি যদি গোপনে লোকচক্ষুর অন্তরালে এই কাৰ্য্য করে, সে স্বতন্ত্র কথা। কিন্তু তাহ প্ৰকাশ পাইলেই তাহাকে আইন অনুসারে দণ্ডিত হইতে হয় । পূর্বে হিন্দু সমাজে বিশেষতঃ উচ্চবর্ণ হিন্দুদিগের মধ্যে বিধবা-বিবাহ আইনবিগাহিত ছিল । নিজের একান্ত ইচ্ছা! থাকা সত্ত্বেও এই শ্রেণীর বিধবাগণ আবার বিবাহিত হইতে পারিতেন না । ইহা অবৈধ বলিয়া পরিগণিত হইত। প্ৰাতঃস্মরণীয় ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় বিধবাদিগের স্বাধীনতার পরিপন্থী সমাজের এই কুসংস্কারমূলক প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন উপস্থিত করেন। তিনি হিন্দুশাস্ত্ৰ হইতে সমাজকে দেখাইয়া দেন যে স্থলবিশেষে বিধবার পুনবিবাহ শাস্ত্রসম্মত। এই “শাস্ত্রসম্মত কাৰ্য্যকে দেশের আইন-অনুমোদিত করিবার জন্য তিনি গবৰ্ণমেণ্টকে অনুরোধ করেন। তাহার অনুরোধের ফলে ১৮৫৬ খষ্টাব্দে সপরিষদ গবৰ্ণর জেনারেল বিধবাবিবাহ সংক্রান্ত এক আইন বিধিবদ্ধ করেন । এই আইন অনুসারে হিন্দু বিধবা বিবাহ বৈধ বলিয়া স্বীকৃত হয় এবং এই বিবাহে যে সন্তান উৎপন্ন হইবে তাহাকেও বৈধ সন্তান ‘বলিয়া গণ্য করা হইবে । ইংরাজাধিকারে আর একটা বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিধবা-বিবাহ ।