পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डांब्रुङ्ग-थडिङ আলমোড়ায় অবস্থানকালে স্বামীজী তঁহার সহোদরার মৃত্যুসংবাদ প্রাপ্ত হন। স্নেহময়ী ভগিনীর বিয়োগ-সংবাদে তিনি নিতান্ত অভিভূত হইয়া পড়েন। তার পর গাড়োয়াল রাজ্যাভিমুখে নবীন সন্ন্যাসীরা ধাবিত হইলেন। কর্ণপ্ৰয়াগ অতিক্রম করিয়া পূর্বক চটিতে উপনীত হইয়া স্বামীজী জররোগে আক্রান্ত হন । ক্রমে সুস্থ হইয়া তাহারা রুদ্রপ্ৰয়াগে উপস্থিত হইলেন। তথা হইতে শ্ৰীনগর ও পরে টিহিরিতে গিয়া কয়েক দিন বিশ্রাম করিলেন। এখানে কয়েকজন গুরুভ্রাতার সহিত র্তাহাদের মিলন ঘটে। কিছুদিন এই স্থানে থাকিয়া তপস্যা করিতে স্বামীজীর বিশেষ অভিলাষ ছিল ; কিন্তু স্বামী অখণ্ডানন্দ অকস্মাৎ পীড়িত হওয়াতে তঁাকার চিকিৎসার জন্য স্বামীজীকে দেরাদুনে ফিরিয়া আসিতে হইল। দেরাদুনে তিন সপ্তাহ অবস্থানের পর কুপানন্দের উপর অখণ্ডানন্দের তত্ত্বাবধানের ভার অর্পণ করিয়া স্বামীজী হৃষীকেশ অভিমুখে গমন করিলেন। তথায় কুটীর বাধিয়া তিনি দুই জন গুরুভ্ৰাতার সহিত কঠোর তপস্যায় নিরত হন। কিছুদিন পরে স্বামীজীর এমন কঠিন পীড়া জন্মিল যে, গুরুভ্রাতৃগণ র্তাহার জীবনের আশা একপ্রকার পরিত্যাগ করিয়া শোক-বিমূঢ় হইয়া পড়িলেন। এক দিন স্বেদস্রাবে স্বামীজীর সর্বাঙ্গ শীতল হইয়া গেল। জীবনের আর কোনও আশা নাই দেখিয়া গুরুভ্রাতারা নিরতিশয় শোকাকুল হইয়া উঠিলেন। এমন সময় জনৈক সন্ন্যাসীকে দণ্ডায়মান দেখিয়া তােহাৱা তঁহাকে গৃহমধ্যে আহবান করিয়া লইয়া গেলেন। সমুদয় বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া নবাগত সন্ন্যাসী তাঁহার ঝুলী হইতে কিছু পিপুলচূৰ্ণ কিঞ্চিৎ মধু-মিশ্রিত করিয়া চৈতন্যহীন স্বামীজীকে সেবন করাইয়া দিলেন। ঔষধপ্ৰয়োগের অনতিকাল পরেই স্বামীজী নয়ন উন্মীলিত করিলেন । অল্পীক্ষণ