পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-প্ৰতিভা বলিয়াছিলেন যে, “য়ুরোপীয়দিগের সঙ্গে ব্যবহার করিতে গেলে, আত্মমৰ্য্যাদাজ্ঞান বিশেষভাবে থাকা দরকার । নহিলে তাহারা পদে পদে আমাদিগকে লাঞ্ছিত করিবে ।” । বোম্বাই নগরে আসিয়া মুন্সী জগমোহন স্বামীজীর প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করিলেন। তিনি রেশমের পাগড়ী, রেশমের আলখাল্লা প্রভৃতি বহুমূল্য দ্রব্যাদি ক্ৰয় করিতেছেন দেখিয়া স্বামীজী তঁাহাকে নিষেধ করিলেন ; কিন্তু জগমোহন সে কথা শুনিলেন না। রাজার গুরু, সুতরাং তদুপযুক্ত বেশভূষায় দিগ্বিজয়ে যাত্ৰা করিবেন। জাহাজে প্রথম শ্রেণীর একটি কামরাও স্বামীজীর জন্য ভাড়া করা হইয়াছিল। স্বামীজীর মান্দ্ৰাজী শিষ্য মি: আলসিখা পেরুমাল গুরুদৰ্শন-কামনায় আসিয়াছিলেন। এই উভয় শিষ্য ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দের ৩১শে মে স্বামীজীকে জাহাজে তুলিয়া দিয়া আসিলেন। বিচ্ছেদের সময় বিবেকানন্দের নয়ন শুষ্ক ছিল না। “মা, তোমার হনুমান সাগর লঙ্ঘন করতে চল্লো” মাকে এই মৰ্ম্মে একখানি ক্ষুদ্র পত্ৰ লিখিয়া-ভগবান শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের নাম স্মরণ করিয়াপ্ৰতিষ্ঠাবিহীন স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিক যাত্ৰা করিলেন। বোম্বাই-পরিত্যাগের পর স্বামীজী কলম্বো, পিনাং, সিঙ্গাপুর, হংকং প্রভৃতি স্থান দর্শন করিতে করিতে চলিলেন। ক্যাণ্টনে স্বামীজী একটি চীনা মঠ দেখিবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করেন ; কিন্তু যে সকল স্থলে বৌদ্ধমঠগুলি অবস্থিত, সেখানে বৈদেশিকদিগের প্রবেশাধিকার নাই। স্বামীজী, যে কাৰ্য্যে বাধা পাইতেন, তাহা সম্পন্ন করিবার জন্য তঁহার ইচ্ছ। আরও বলবতী হইত। তিনি পথ-প্রদর্শককে লইয়া অগ্রসর হইলেন। কিয়দুর অগ্রসর হইবার পর স্পষ্টই দেখা গেল, কতকগুলি লোক লাঠি লইয়া তাড়া করিয়া আসিতেছে। “গাইড” তত্ক্ষণ “পগার’ পার। স্বামীজী