পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী ৰিবেকানন্দ । $80 নিশীথ-রাজনীতে তন্দ্ৰঘোরে তিনি যেন শুনিতে পাইতেন, পরদিবস তিনি যে সকল কথা বলিবেন কে যেন উচ্চারবে তঁহার নিকট দাড়াইয়া সেই সকল কথা বলিতেছে। সময়ে সময়ে এই উপায়ে অনেক অপূর্ব তত্ত্ব-নূতন ভাব-রাসের বিচিত্র সংবাদ তিনি জানিতে পারিতেন। সে সব এমনই নূতন যে, ইহ-জন্মে কোনও দিন তিনি সে সকল কথা শুনেন । নাই বা চিন্তা করেন নাই। নিদ্রাভঙ্গের পর সেই সকল কথা স্মরণ করিয়া তিনি পরদিবস বক্তৃতা দিতেন। পাশ্চাত্যদেশে অবস্থানকালে স্বামীজীর নানা প্রকার যোগ শক্তিলাভ হইয়াছিল। স্পর্শমাত্রেই তিনি লোকের জীবনের গতি নূতন পথে পরিচালিত করিতে পারিতেন। বহুদূরের ঘটনাবলী সুস্পষ্ট নয়নগোচর হইত। কাহারও মুখের দিকে চাহিবামাত্ৰ তাহার অতীত জীবনের সমগ্ৰ ইতিহাস পৰ্য্যন্ত তিনি বলিয়া দিতে পারিতেন । স্বামীজীর বিজয়-বাৰ্ত্তা ভারতবর্ষে বিঘোষিত হইলে সকলেই আনন্দে উল্লাসিত হইয়া উঠিলেন। পরমহংসদেবের ও বিবেকানন্দের জয়ধ্বনি ভারতবর্ষের আকাশ ও বাতাসকে মুখরিত করিয়া তুলিল। বহু শতাব্দীর পর মুমূর্ব ভারতবাসী যেন সঞ্জীবন-মন্ত্রে প্রাণ পাইয়া জাগিয়া উঠিল। স্বামীজীর নিকট আনন্দোৎফুল্ল, মত্ত ভারতবর্ষের হৃদয়েখিত কৃতজ্ঞতা নিবেদিত হইল । স্বামীজীর ছাত্রসংখ্যা আমেরিকায় ক্রমেই বদ্ধিত হইতেছিল। ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে “গ্রিন একার কনফারেন্স” নামক সমিতির কতিপয় অধিবেশনে তিনি বক্তৃতা করেন। সেখানে কয়েকজন ছাত্রও জুটিয়াছিল। তাহারা একটি বৃহৎ ও প্রাচীন দেবদারু-বৃক্ষের তলে বাঙ্গালীর ন্যায় অসানপিাড়ি হইয়া উপবেশন পূর্বক স্বামীজীর প্রমুখাৎ